দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেবাশিস আচার্য্য-র নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের তিন সদস্যের একটি দল ‘দেবকির ঘাটি’ অতিক্রম করে ইতিহাসে সর্বপ্রথম এই গিরিবর্ত্ম অতিক্রম করার দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। ৫২৯২ মিটার উঁচু এই গিরিবর্ত্মর অবস্থান উত্তরে ৩১ ডিগ্রী ১৪.৮৮১মিনিট , পূর্বে ০৭৮ ডিগ্রী ২৬.৪৮৫ মিনিট। এই অভিযান উত্তরাখণ্ডের জাখোল থেকে ওবরা উপত্যকা দিয়ে শুরু হয়েছিল।’দেবকির ঘাটি’, যা এখন পর্যন্ত কোন দল অতিক্রম করেনি, তা ঠিক অবরা উপত্যকার দেবকির হিমবাহের অগ্রভাগে অবস্থিত।


এই তিন সদস্যের দলে ছিলেন দেবাশিস আচার্য্য (দলনেতা), নবীন চৌধুরী (সহ দলনেতা), বিনয় দাস, ডেনদ্রুপ শেরপা এবং তার সহকারী হিসেবে নরেশ কুমার। এছাড়া গঙ্গার ও ওসলা গ্রামের তিনজন স্থানীয় কুলিও এই অভিযানে নিয়োজিত ছিলেন।
এএই অভিযান ২৭ শে অক্টোবর ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল। দলটি ২’রা নভেম্বর দেবকির ঘাটিতে পৌঁছয় এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ওই ঘাটিতেই শিবির স্থাপন করতে বাধ্য হয়। ৪ ‘ ঠা নভেম্বর হিমাচল প্রদেশের কিন্নর অঞ্চলের জুপকিয়া হিমবাহে অবতরণের আগে দলটিকে দেবকির হিমবাহের দিক থেকে একটি ২০ মিটার উঁচু পাথরের দেওয়াল উঠতে হয় , ৬টি ভাগে rappel করতে হয়, পাহাড়ের ঢালে একটি গুহায় বরফ শীতল রাতও কাটাতে হয়, যা দেবকির গুম্ফা (৫১০০ মিটার) নামে দলটি নামকরণ করেন। এরপর দলটি একটি বিশাল bergschrund অতিক্রম করে বরফ ফাটল যুক্ত জুপকিয়া হিমবাহে প্রবেশ করে । অবশেষে তারা ৬’ই নভেম্বর চিটকুলের কাছে রানিকান্দায় তাদের এই মহাকাব্যিক অভিযান শেষ করেন।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দেবাশিস আচার্য্য বলেন “আমাদের সকলের প্রিয় শ্রী বনভূষণ নায়েক দেবকির ঘাটি অতিক্রমের প্রথম চেষ্টা করেন ১৯৯৯-২০০০ সালে। কিন্তু একাধিক কারণে তা অধরা থাকে।পরের দু দশক আর এই গিরিবর্ত্ম অতিক্রমের প্রচেষ্টার কোনো খবর পাওয়া যায় নি। শ্রী নায়েকের অনুপ্রেরণা আমাদের এবারের এই অভিযানকে অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করেছে। লজিস্টিক এবং সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনার সাথে পুরো অভিযান জুড়ে তাদের সমর্থনের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে সূর্য অ্যাডভেঞ্চারস অ্যান্ড রিট্রিট, সাঙকরি ’কে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”