দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতেই পালিত হয় কালী পুজো। মা কালীর ভয়ঙ্কর রূপের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। তাঁর চার হাত, গায়ের কালো রঙ, নগ্ন রূপ-এ সবকিছু কিছু না কিছু বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক মায়ের এই মোহময়ী রূপ কোন কোন বার্তা দেয়।
মা কালীর চার হাতের তাত্পর্য- মা কালীর ওপরের দুই হাত, বিশ্ব থেকে যাবতীয় খারাপ এবং আসুরিক শক্তির বিনাশ এবং ধ্বংসসাধনের প্রতীক এবং অপর দুটি হাত তাঁর সন্তানদের প্রতি অপার স্নেহ ও ভালবাসার প্রতীক ভক্তদের আশীর্বাদ করার জন্য মা সর্বদাই তাঁর আশীর্বাদের হাত বাড়িয়ে রয়েছেন।
মা কালীর গায়ের রঙ- মায়ের গায়ের রঙ অন্ধকারকে চিহ্নিত করে। এবং এই মহাবিশ্বের ধ্বংসকার এবং নির্মাণকারী হিসাবে তুলে ধরা হয়। তাঁর অপর নাম কৌশিকী এবং অমাবস্যা।
মায়ের নগ্ন রূপ- মায়ের নগ্ন রূপ কিন্তু পবিত্রতার প্রতীক। মায়ের নগ্ন রূপ প্রমাণ করে যে মা মায়া থেকে অনেকটা দূরে। তিনি আসলে সবকিছুর ঊর্ধে। এমনকী এই বিশ্ব প্রকৃতির ঊর্ধে তিনি বিরাজ করেছেন তিনি। তিনি আদি এবং তিনিই অনন্ত। এমনকী এই বিশ্ব প্রকৃতির বিনাশ ঘটলেও তাঁর উপস্থিতি থাকবে।


তবে শুধু তাই নয়, মায়ের হাতের খর্গ, মুণ্ড মালা, মায়ের অবিন্যস্ত চুল মায়ের রূপে এক অন্য মাত্রা যোগ করে। সেই সঙ্গে এই কথাও ঠিক যে মা কালী আমাদের যে শিক্ষা দেয় তা হল মায়ের ভালবাসা কখনওই ভাল বা খারাপ হিসাবে বিচার করা যায় না।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী কালী হলেন সবচেয়ে শক্তিশালী দেবীদের মধ্যে অন্যতম। মা কালী তাঁর চলার পথের সামনে যাবতীয় ধ্বংসাত্মক, যাবতীয় কুফলকে হত্যা করেছিলেন। কালীর এক একটি রূপের এক একটি বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-


দক্ষিণা কালী- মা কালী যখন তাঁর ডান পা শিব ঠাকুরের বুকের ওপর রাখেন এবং বাম হাতে খর্গ ধারণ করেন, তখন তাঁকে বলা হয় দক্ষিণা কালী
মহা কালী- মহাকালী হলেন তিনি যাঁর দশটি মাথা, দশটি পা এবং দশটি হাত রয়েছে। মায়ের প্রত্যেকটি হাত হিন্দু ধর্মের নিয়মানুসারে আলাদা আলাদা শক্তির উত্স হিসাবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
শ্মশান কালী- মা কালী যখন তাঁর বাম পা শিব ঠাকুরের নুকের ওপর রাখেন এবং ডান হাতে খর্গ ধারণ করেন তাহলে মায়ের সেই রূপ শ্মশান কালী নামে পরিচিত।