দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার জেরে এবারে দূর্গাপূজোর মতো কালীপূজোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানেই একটি জনস্বার্থ মামলায়, আদালতের তরফে এবারে সবরকমের বাজি বিক্রি ও ক্রয় নিষিদ্ধ করবার নির্দেশিকা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নির্দেশিকা জারির পরেও, কোথাও কোথাও অবাধে চলছিল বাজি বিক্রয়। তাই প্রশাসনের তরফে তা খতিয়ে দেখতেই পথে নামলো পুলিশ।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে বাজির বিক্রিয় হলেও আদালতের নির্দেশের পরে, শুক্রবার দুই জেলায় অনেকে জায়গাতেই বাজি বিক্রি বন্ধ হয়েছে। বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার জানিয়েন, “বাজির বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযান চলছিল। এখন অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে।’’
হাবড়ার আশপাশের কয়েকটি জায়গায় কালীপূজোর সময় বাজির স্টল বসে।তবে আদালতের নির্দেশিকার পর সেখানেও বন্ধ হয়েছে বাজির দোকান। একই ছবি বসিরহাট পূরাতন বাজারেও।
তবে কিছু জায়গা যেমন যোগেশগঞ্জ বাজারের কিছু অংশে এদিনও শব্দবাজি, আতশবাজি স্টল খোলা দেখা গেল। এবিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, আদালতের রায় সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানেন না। ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে এ বার কোনও বাজির দোকান বসেনি।
তবে প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে বাজি বিক্রির খবর উঠছে একাধিকবার। ঘটনা তদারকিতে পুলিশি তরফেও গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে সমস্ত বিষয়টা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ক্যানিং শহরে রাস্তার মোড়গুলিতেও নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশিও।