দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ এনডিএ’র শক্তির কাছে রাজিত হলেও বিহারের লড়াইয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে RJD’র উত্থান লক্ষণীয়। আর আরজেডি’র সাথে বিহারে কংগ্রেস গড়েছে মহাজোট যা সম্মিলিত ভাবে বেগ পাইয়ে দিয়েছে এনডিএ শিবিরকে। অন্যদিকে একুশের বিধানসভাতে বাংলায় বাম গণতান্ত্রিক জোট সঙ্গী হচ্ছে কংগ্রেস। বিহারে মহাজোটের লড়াই দেখে উজ্জীবিত বাম, কংগ্রেস শিবির। এমনকি ভবিষ্যতে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জোটের দেখানো রাস্তাতেই বাংলার মানুষ হাঁটবে বলে মনে করছেন বাম নেতারা।
বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে বামেদের রুটিরুজি ও কর্মসংস্থানের দাবিকেই রাজ্যের মানুষ ভোটবাক্সে সমর্থন জানাবে, এই আশায় বুক বাঁধছে বাংলার কমরেডকুল। মহাজোটের জোড়াফলাকে এ রাজ্যের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনাও শুরু করেছে জোট শিবির।
মধ্যরাতে গণনা শেষে বামেদের ১৬তে থামতে হলেও তিনটি আসনের গণনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করেছেন CPIM লিবারেশনের সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। সেখানে কারচুপির অভিযোগও করা হয়েছে। তবে বামেদের ধারণা এনডিএ’র ঝুলিতে এত আসন না গেলে, বিহারের আরও কিছুটা জমি লাল রঙের আবিরে রাঙানো যেত। তবে যেভাবে বিহারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বামেরা তার প্রতিফলন বাংলার রাজনীতিতেও পড়তে বাধ্য এমনটিই মনে করছেন বাম নেতারা।
এদিকে আলিমুদ্দিন-বিধানভবন একসাথে বিহারে মহাজোটের ম্যাজিককে এ রাজ্যেও সামনে আনার কাজ শুরু করবে বলে জোর জল্পনা। ভোটারদের মনে নতুন করে বামেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্যে রাস্তায় নেমে সংগঠিত আন্দোলনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। আর তাই জনমনে ঠাঁই করে নিতে নতুন দুই তারকা তেজস্বী যাদব ও কানহাইয়া কুমারকে ভোট প্রচারে বাংলায় আনার পরিকল্পনা বাম-কং এর।
রাজ্যে বাম জোটে যেহেতু আরজেডি রয়েছে তাই তেজস্বীকে প্রচারে আনতে সমস্যা হবে না বলেই ধারণা আলমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের। তবে তেজস্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। আর কানহাইয়া তো তাঁদের শিবিরের পরিচিত মুখ, সিপিআই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই দুই তরুণ তুর্কিকে বাংলার মাঠে নামাতে পারলে রুটিরুজি ও কর্মসংস্থান ইস্যু সহজেই উসকে দেওয়া যাবে।
তবে ভেতরের খবর এবার ভোটে তাদের সিংহভাগ প্রার্থীই হবে নতুন মুখ। সিপিএম পার্টির ছাত্র-যুব অংশকে ভোটযুদ্ধে সামনের সারিতে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে। বাকি শরিকদেরও বোঝানোর কাজ চলছে যাতে যুবদের কথা মাথায় রেখে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘এবার তৃণমূল হারবেই। তবে তৃণমূলের ভোট যাতে কোনওভাবেই রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে সাহায্য না করে সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।