দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ধনতেরাসের মুখে পুরনো সোনা পাল্টে হলমার্ক যুক্ত সোনা পাওয়ার টোপে পা দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য পুরোনো সোনার গহনা পাল্টে নতুন গহনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা প্রতারণা করে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক ব্যাক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ‘পুরনো সোনা বদলে দেওয়া হবে হলমার্ক যুক্ত সোনা’ এই দাবি করে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা জনৈক সুকুমার সামন্ত ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার গয়না ও নগদ হাতিয়ে পালায়। আর এই মর্মে সম্প্রতি গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
অভিযোগ হাতে আসা মাত্রই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নামে। গত বুধবার পুলিশ সুকুমার সামন্তকে গ্রেফতার করে। সুকুমার কে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এই তদন্ত শুরুর কিছুদিন আগে আগে শতাব্দী রায়ের কাছে পুরনো সোনা বদলে দেওয়ার কথা বলে প্রথমে বিশ্বাস অর্জন করে অভিযুক্ত সামন্ত। এমন কী তার সেই দাবির সমর্থন ও সত্যতা প্রমাণে কিছু গহনা এক্সচেঞ্জের নথিও সাংসদকে দেখানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন শতাব্দী। সেই নথি দেখে ভরসা হওয়াতে শতাব্দী রায় সামন্ত কে গহনা ও নগর টাকা দেন। যদিও পুলিশের হাতে আসা সেই সব নথি খতিয়ে দেখে লালবাজারের ফরেনসিক বিভাগ তা ভুয়ো বলে জানিয়েছে।
তবে ধৃত’র কাছ থেকে এখনো নগদ টাকা ও গহনা উদ্ধার হয় নি। পুরনো সোনার গয়না ও নগদ টাকা কোথায় রাখা আছে খুঁজে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে যখন পাকড়াও করা গিয়েছে তখন সোনা-নগদের সন্ধান পেতে বিশেষ দেরি হবে না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে এই প্রতারণা চক্রে আরও কোনো বড় মাথা বা আন্তর্জাতিক কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও এই পসঙ্গে শতাব্দী রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো অবধি পাওয়া যায় নি।
যদিও এর আগেও পুরোনো সোনা বদলে হলমার্কযুক্ত সোনা দেওয়ার নামে রাজ্যের বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এবার বাংলার প্রথম সারির অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এই প্রতারণার শিকার হলেন।