দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শিল্প-সাহিত্য-চলচ্চিত্রের টানে বরাবরই বুদ্ধবাবু ও সৌমিত্র বাবুর মধ্যে একটা পারস্পকির শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। যদিও দুজনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ৯ বছরের। আজ রবিবার, দুপুর ১২:১৫ তে পরলোক গমন করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে অসুস্থ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবু শোক প্রকাশ করলেন।
রবিবার তাঁর পক্ষ থেকে একটি শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বুদ্ধদেব বলেছেন, “সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু এক গভীর দু:খজনক ঘটনা। বাংলা চলচ্চিত্র চিরকাল তাঁর কাছে ঋণ স্বীকার করবে। আমি তাঁর পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাই।”


উল্লেখ্য বর্তমানে, গুরুতর অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, যখন তিনি সক্রিয় ছিলেন, তখন শিল্পানুরাগী বুদ্ধবাবুর সাথে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রায়ই নন্দনে আড্ডা জমে উঠত। কবিতাপ্রীতি, সাহিত্যের অনুরাগ, আন্তর্জাতিক ফিল্মের প্রতি ভালোবাসা, মার্কসবাদী চেতনা – অনেক দিক থেকেই একে অপরের কাছাকাছি এসেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর আমলে চলচ্চিত্র উত্সবের মধ্যমণি ছিলেন সৌমিত্র।


এমনকী নন্দিগ্রামের ঘটনার পর যখন চরম সমস্যাতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার, সেই সময়ও তাঁর সরকারকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন সৌমিত্র। খেজুরিতে সিপিএম এলাকা পুর্দখলের পর সৌমিত্র বলেছিলেন ‘ছলে বলে কলে কৌশলে যেভাবেই হোক মানুষ ঘরে ফিরেছেন এটাই বড় কথা’। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। তাঁর এই রাজনৈতিক প্রজ্ঞার জন্য অপর্ণা সেন-সহ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই বিরুদ্ধে যেতে হযেছিল। এমনকী কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আগেও, এক নিবন্ধে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বিকল্প বামপন্থা আনার কথা জানিয়েছিলেন সৌমিত্র বাবু।