দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বর্ধমানে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হল জখম নীলগাই! বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আহত অবস্থায় ওই নীলগাইটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে শুশ্রূষা শুরু করেন। খবর পেয়ে অনতিবিলম্বে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও আসেন। তাঁদের উদ্যোগেই বর্ধমানের বনদফতরের আধিকারিকরা এসে নীলগাইটিকে উদ্ধার করেন। নীলগাইটিকে চিকিত্সার জন্যে রমনাবাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দেবাশিস শর্মা জানান, প্রাথমিকভাবে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েই নীলগাইটি আহত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তার চিকিত্সা চলছে। তবে ওই নীলগাইটি কিভাবে বর্ধমানের জাতীয় সড়কের পাশে এল বা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তাঁর মতে অনেক সময় সুন্দরবনে চাষের জন্য নীলগাই নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছিল কিনা সূত্র মারফত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে গোপনে গাড়িতে করে এই নীলগাই পাচার হচ্ছিল। কারণ নীলগাইটির দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। সেটির কোমর ও পায়ে চোট রয়েছে। চোটের ধরণ দেখে অনুমান অনেকটা উঁচু থেকে বা চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে যেমন আঘাত লাগতে পারে, এই ছোট অনেকটাই ওই রকমের।


তবে বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পশ্চিম বঙ্গের কোনো জঙ্গলেই নীলগাই দেখতে পাওয়া যায় না। তাই এটা এখনকার কোনো অভয়ারণ্য থেকে আসার কোনও রকমই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। মূলত: বিহার, উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের নীলগাই দেখা যায়। সেরকম কোনো জায়গা থেকেই এই নীলগাই অন্য কোথাও নিয়ে জোয়ার সময়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।
তবে বর্ধমানে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বন্যপ্রাণী উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয় এর আগেও পাচারের সময় প্রচুর বিরল প্রজাতির নিষিদ্ধ কচ্ছপ উদ্ধার হয়। এমনকি কয়েক বছর আগে খন্ডঘোষে কৃষিজমিতেই একটি নীলগাই পাওয়া গিয়েছিল। সেটাও আহত ছিল। চিকিত্সা করেও তাকে বাঁচানোর যায়নি। এবারে উদ্ধার হওয়া নীলগাইটির অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক। এটির কোমর ও পায়ের চোট বেশ গুরুতর।