দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আগেই দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল গরুপাচার কনদের ‘কিংপিন’ এনামুল হক। এরপর আজ গ্রেফতার করা হলো বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার কে। মঙ্গলবার কুমার কে ম্যারাথন জেরা করার পর গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে কুমারকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সূত্রের খবর আজ নিজাম প্যালেসে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত তাঁকে জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সিবিআই আধিকারিকরা গত সেপ্টেম্বরে গরু পাচার কাণ্ডে এই বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতেই প্রথম হানা দিয়েছিলেন। তারপর সপ্তাহ দুয়েক আগে ফের কুমরের বাড়ি এবং মানিকতলার এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান সিবিআই। গোপন সূত্রে খবর, এই গ্রেফতারের পর সতীশ কুমারের সূত্র ধরে আরও ধরপাকড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী কালীন জামিন পেয়ে এই মূহুর্তে গৃহবন্দী রয়েছে এনামুল।
এনামুলদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে বিএসএফ ও কাস্টমসের এক শ্রেণির কর্তার এই ইঙ্গিত পেয়ে গত সেপ্টেম্বরে সল্টলেকের পাশাপাশি মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তদন্তে এও উঠে আসে যে অভিনব কায়দায় তারা গরু পাচার করতো। বিএসএফ এর হাতে গরু ধরা পড়লেও সেই গাড়ির কোনো রেকর্ড রাখা হতো না। আর সেই গরু গুলিকে অকশনে কিনে নিট এনামুল। গরু পিছু একটা ভাল টাকা পৌঁছে যেত ওই সব সরকারী কর্তাদের হাতে। এখন আর কোন কোন প্রভাবশালীর বল-ভরসায় এনামুলরা এই পাচার চক্র চালাত তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় না থাকলে এতবড় কারবার চালানো সম্ভব নয়। আর এই সম্ভাবনা কে হতোয়ার করেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারের তদন্ত আয়কর দফতরের থেকে হাতে নিয়েছে সিবিআই। অনুপ মাঝি উর্ফ লালার বাড়ি ও অফিসে তারা রেইড করেছে বলে খবর। এমনকি এনামুলের সাথে লালা’র যোগসাজগ রয়েছে বলেই সূত্রের খবর রয়েছে। আবার অন্যদিকে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নিযুক্ত অফিসারদের দিল্লিতে সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর অর্থ সিবিআই গরু পাচার ও কয়লা পাচারের তদন্ত একসাথে এগবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।