দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অমিত শাহ’র বঙ্গ সফর বরাবরই বিতর্কিত। এবার ‘বিরসা মুণ্ডা’র মূর্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র মাল্যদান নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তৃণমূলের বক্তব্য অতি কোনভাবেই বিরসা মুন্ডা’র মূর্তি নয়। আর এই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বেফাস মন্তব্য “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালা পরিয়ে যখন বলেছেন এটা বিরসা মুন্ডার মূর্তি, তখন আজ থেকে ওটাকেই বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে মেনে নিতে হবে।” আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে।
এবার বিরসা মুন্ডার মূর্তি বিতর্ক কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আর এই পদক্ষেপ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট বিতর্ক বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা মঙ্গলবার জানান- জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছেলে মেয়েরা মঙ্গলবার থেকেই এই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় পাঠাচ্ছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের মন্তব্য, আদিবাসীদের আড়ালে এই চিঠি পাঠানোর প্ল্যান আসলে তৃণমূলেরই। তবে গেরুয়া শিবির আশাবাদী যে ভোট ব্যাংকে এই ঘটনার প্রভাব পরবে না।
বাঁকুড়া সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুয়াবাগানে অবস্থিত একটি মূর্তিতে মালা দেন। তবে বিজেপি’র পক্ষ থেকে ওই মূর্তি বিরসা মুন্ডার দাবি করা হলেও তৃণমূল ও আদিবাসী সমাজের একাংশ তা মানতে নারাজ। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই মূর্তি একজন আদিবাসী শিকারীর। আর এখানে শিকারীর মূর্তিকে বিজেপি বিরসা মুন্ডার বলে জোর করে চালাতে চাইছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
অন্যদিকে এই চিঠি প্রসঙ্গে ঈশ্বর মুর্ম্মু, নীলমনি মুর্মুরা জানান, এক শিকারীর মূর্তিতে তাদের আরাধ্য দেবতা বিরসা মুন্ডার নাম করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাল্যদান একটি অপমানজনক ঘটনার সমতুল্য। সেকারণেই প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি। অন্যদিকে বিজেপি’র জেলা যুব মোর্চা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূল আদিবাসী সমাজের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন যা গত লোকসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে এখন ভগবান বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার বিষয়টি তৃণমূলের ঘুরিয়ে নাক ধরার মতই কান্ড বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।