দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সম্প্রতি ‘দার্জিলিং ক্রনিক্যাল্স’ সেভক সেতুর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে সেভক ব্রিজের একটি পিলারের নিচের অংশের মাটি অনেকটাই সরে গিয়েছে, ফাঁকা হয়ে আছে ওই অংশ। যেকোনো সময়ে একটি বৃহত্তর বিপর্যয় ঘটে দার্জিলিং ও কালিম্পং সহ সিকিম বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে শিলিগুড়ি ও সমতলের সাথে।
ওই জার্নালের প্রকাশিত ছবিতে একদম পরিষ্কার যে ঐতিহাসিক ব্রিজের পিলারগুলির নিচের অংশে সেভাবে কোনও বড় ভিত নেই, যেটুকু পাথর রয়েছে সেগুলোও ক্ষয়িষ্ণু। জার্নালের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে দ্রুত এর মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের অংশ এই সেতু ১৯৪১ সালে উদ্বোধন করা হ্য়। নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। ১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রাণী এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেক স্মরণে এটির নামকরণ করা হয় এবং নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল সেই সময়ে ৪ লক্ষ টাকা। ১৯৩৭ সালে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলার তৎকালীন গভর্নর জন এন্ডারসন। দীর্ঘ ৪ বছর সময় নিয়ে এই সেতু ১৯৪১ সালে সম্পন্ন করা হয়।
সেতুর একটি প্রবেশপথে দুটি বাঘের মূর্তি স্থাপনের কারণে সেতুকে বাঘপুল বলে অভিহিত করা হয় জন চেম্বার্স, দার্জিলিং ডিভিশন পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (PWD) সর্বশেষ ব্রিটিশ নির্বাহী প্রকৌশলী যাঁরা সেতুর নকশা, অঙ্কন এবং পরিকল্পনা সম্পন্ন করেন।
ঠিকাদার ছিলেন মেসার্স জে সি গ্যামন, বোম্বে। এই সেতু শক্তিশালী কংক্রিট নির্মিত। যেহেতু জলের গভীরতা এবং স্রোতের কারণে তিস্তা নদীর তলদেশ থেকে সমর্থন পাওয়া সম্ভব হয়নি, পুরো সেতুটি একটি নির্দিষ্ট খিলান দ্বারা সমর্থিত, যা নদীর দুপাশে পাথরের স্তরের উপর দুটি পিলারের ওপর স্থিত। এই পিলার দ্বয়ের একটির নিচ থেকেই সরে যাচ্ছে মাটি ও পাথর।