দ্য ক্যালকাটা মিরর: ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গোটা দেশে এক লিটার সর্ষের তেলের গড় দাম ছিল ১২০ টাকা। সেখানে এক বছর আগে তা ছিল ১০০ টাকা। ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর দেশে এক লিটার সয়াবিন তেলের গড় দাম ছিল ৯০ টাকা, বর্তমানে তার দাম বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা লিটার৷ সানফ্লাওয়ার সহ অন্যান্য তেলের ক্ষেত্রেও একই ভাবে দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম এখনও কমেনি। বেঁড়েছে আলুর দাম ও। তবে আলু, পেঁয়াজের দামের সঙ্গে এবার তাল মিলিয়েছে সর্ষে, সয়াবিন, সানফ্লাওয়ারের মতো রান্নায় ব্যবহৃত বা ভোজ্য তেলের দাম। করোনার রেশ এখন ও কাটেনি।মধ্যবিত্তের পকেটে পড়েছে টান।তবে রান্নার তেলের দাম বাড়ার খবরের আশঙ্কা গ্রাস করতে বসেছে দেশের নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে।
শুধুমাত্র নিম্ন বা মধ্যবিত্ত শ্রেণি নয়, তেলের দাম বাড়া সরকারেরও নতুন মাথাব্যথার কারণ ও হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এই সপ্তাহের শুরুর দিকে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়৷ আমদানি বাড়িয়ে পেঁয়াজ এবং আলুর দাম কমালেও, ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলেছে হু হু করে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে৷ তার মধ্যে রয়েছে রান্নার তেলও।তেলের বাজারের বিশেষজ্ঞ সলিল জৈন সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, “মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে তেল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে তেলের দাম বাড়ছে”।এছাড়া গত ছ’ মাসে মালয়েশিয়ায় পাম তেলের উৎপাদন অনেকটাই কমে গিয়েছে৷ যে কারণে অন্যান্য তেলের দামও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় খুচরো বাজারে ১ লিটার সর্ষের তেলের দাম ছিল ১৩৭ টাকা। জেলায় আগ মার্ক তেলের দাম ১৫৫ টাকা লিটার। এক বছর আগে তা ছিল ১০১ টাকা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১১৩ টাকা লিটার এবং সানফ্লাওয়ার অয়েলের দাম ছিল ১৩৫ টাকা। কিছু বছর আগেও যা ছিল যথাক্রমে ৯৪ এবং ১০২ টাকা৷
তবে কলকাতার থেকেও দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলিতে ভোজ্য তেলের দাম আরও অনেকগুন বেশি। দিল্লিতে এক লিটার সর্ষের তেলের দাম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। এবং মুম্বইতে তা ১৬০ টাকায় ছাড়িয়ে গিয়েছে।