দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ এর মধ্যে জগদ্ধাত্রী দেবীর পুজোতেও যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মতই মেদিনীপুরেও জগদ্ধাত্রী পুজোর উন্মাদনা লক্ষণীয়। আর এবছর মেদিনীপুর বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যের খবর এই মূহুর্তে হটকেক। এই বছর দুর্গা পুজো ও দীপাবলীর পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পূজোতে প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে কাটছাঁট করে দেওয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহন ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার ফিতে কেটে এবং পুষ্প অর্পণের মধ্য দিয়ে এই পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন হয়, জানা গেছে এই জগদ্ধাত্রী পুজো এ বছর ৩৫ তম বর্ষে পা দিল। প্রত্যেক বছর এই জগদ্ধাত্রী পূজো উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ একাধিক সমাজ সেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে এই পুজো কমিটি, তবে এই বছর মহামারি ভাইরাসের কারণে সব কিছুই কাটছাঁট করে দেয়া হয়েছে শুধু তাই নয় যাতে সময় দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাক্স পরিধারণ করে দর্শনার্থীরা প্রতিমা দর্শন করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে একাধিক, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুকুমার দেশসহ আনন্দময় অধিকারী সহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ।




এই দিনের অনুষ্ঠানে যেটা বিশেষ লক্ষ্যনীয় ছিল তা হলো শুভেন্দু অধিকারীর ক্যারিজমা। তিনি আসতেই মানুষের ভীর তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্যে পাগল হয়ে যায়। সব থেকে উল্লেখ্য এই যে প্রদীপ জ্বালানোর জন্যে শুভেন্দু বাবু কে যখন বলা হয়, তিনি দেখলেন তার চলার পথে খবরের কাগজ বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি ক্লাবের কর্মকর্তার দিকে একবার বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে ওই খবরের কগজে পা না দিয়ে মাটিতে হেঁটে গিয়ে প্রদীপ জ্বালালেন। আর এই ঘটনা খুব ক্ষুদ্র হলেও মানুষের চোখে ধরা পড়েছে। তিনি ইদানিং ‘আমি অপনাদের লোক, আমি ঘরে নয়, ময়দানে নেমে কাজ করি’ এই মন্তব্য যে বাস্তবেও এক তা আরও এক বার প্রমাণ করে দিলেন।
দেখুন সেই ভিডিও: