দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অতীতের বাম দুর্গ হলদিয়াতে বামের ‘দিয়া’ এখন নিভু নিভু। ৮০ এর দশক থেকে যে হলদিয়াতে বামেদের উত্থান ছিল ঈর্শনীয়। যে মাটি জন্ম দিয়েছিলো লক্ষণ শেঠের। সেই মাটিতে যেটুকু ধিমেতালে বামদের প্রদীও জ্বলছিল, তাতেও শেষ ফুঁ পড়ে গেলো। এবার হলদিয়া সিপিএম-এর বহু পরিচিত মুখের দল পরিবর্তণ। অন্তত ২২ জন বাম নেতা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।
রামনগরে শুভেন্দু শো শেষেই বিজেপির যোগদানের মেলা বসেছে। রামনগরের হাত ধরেই এ দিন হলদিয়ায় বামফ্রন্টে বড়সড় ভাঙন। অবাক করে দিয়ে সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য শ্যামল মাইতি আজই সদলবলে বিজেপির রাজ্য শিবিরে যাচ্ছেন বিজেপিতে যোগদান করতে! আর তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যাচ্ছেন নেতা অশ্বিনী জানা (আরএসপি রাজ্য কমিটির সদস্য) আর সেই সাথে এই দলে রয়েছেন সিপিএম এরিয়া কমিটির সদস্য অর্জুন মণ্ডল ও।
তৃণমূলের মতে ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যোগদান মেলা আয়োজন করছে বিজেপি। তবে এই মূহুর্তে রাজ্যে যা হওয়া তাতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তাতে বহু বিক্ষুব্ধ মানুষ যোগদান করবে এমনটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এই যোগদানে হলদিয়ার মতো খাসতালুকে বামেদের ভাঙন বড়ই অপ্রত্যাশিত। বিহারে বামেদের উল্লেখযোগ্য জয় পশ্চিমবঙ্গের বামেদের মনে অক্সিজেনের সঞ্চার করবে এটাই মনে হয়েছিল কিন্তু দিন তিনেক আগেই দলের হাত ছেড়েছে বিদায়ী কাউন্সিলার রিঙ্কু নস্করও। যা খুবই হতাশাজনক।
যদিও এই প্রসঙ্গে সিপিএম-এর জেলা নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, এতে কোনও ক্ষতি হবে না সিপিএম-এর। অতীতে লক্ষণ শেঠও দল ছেড়েছেন। সেই ক্ষত সামলানো গিয়েছে। এই ভাঙনে পার্টি আরও শক্তিশালী হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এরকম বহু চমক এখনো অপেক্ষা করে রয়েছে। অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপ এর অপেক্ষা করছেন। জল মাপছেন। তবে বাম সহ তৃণমূল কংগ্রেসে যে একটা ভূমিকম্প হচ্ছে সেটা সাধারণ মানুষ ভালই বুঝতে পরছে।