দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শুভেন্দু সহ তৃণমূলের একাধিক নেতার দলবদলের জল্পনার মধ্যে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করে নেন যে, তাঁর দলের অনেকেরই থাকা আর না থাকা ‘দোদুল্যমান’; অর্থাত্ তাঁরা এখন দু নৌকায় পা দিয়ে সময়ের অপক্ষায়। বঙ্গ রাজনীতিতে এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে জল্পনা তাহলে কী বিজেপির বক্তব্যই সঠিক!
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন বলে বঙ্গ বিজেপির দীর্ঘদিনের দাবি। আর এর মধ্যে অন্তত হাফ ডজন সাংসদ রয়েছেন বলেও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি। যদিও এতদিন সেই দাবিকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তবে রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে স্পষ্ট হল যে যা কিছু রটে তার কিছু তো বটেই।
এদিন বেহালায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিক পার্থবাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় না থাকায় কি দলের কোনও সমস্যা হবে?’ সে জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, “অনেকেরই না থাকা, থাকা দোদুল্যমান। আমাদের অসুবিধা তখনই হবে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কার কত দৌড় আমাদের দেখা আছে। রাজনৈতিকভাবে আমরা শক্তিশালী কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মাথায় আছেন।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে পার্থবাবুর এদিনের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট, তৃণমূলে এই মূহুর্তে ভাঙনের চাপ রিখটার স্কেলে ৭ এর কাছাকাছি। আর সেই চাপ ধরে রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্বকেই।