দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফের বাংলা দখল করবে তৃণমূল এমনটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আগামী কাল ভার্চুয়াল বৈঠক টাই কর্মসূচি পরিবর্তন করে রবিবারই বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের পরিবর্তে রবিবার বাঁকুড়ায় মুকুটমণিপুরে পৌঁছান তিনি। আজ খাতরায় প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ এবং ‘কর্মই ধর্ম’ নামে দুটি প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ওই প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের কর্মসংস্থান ইস্যুতে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, লকডাউনের ছেড়ে বহু মানুষের রুজি-রুটির সংস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরতদের কাজের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে সরকার। আগামী দিনে আরো ছেলেমেয়েকে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে বলেও তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমরা সমবায় ব্যাংক থেকে ঠিক করছি দু’লক্ষ ছেলে মেয়েকে একটা করে বাইকের ব্যবস্থা করে দেব।
মুখ্যমন্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী সেই বাইকের পিছনে একটা বক্স থাকবে। ওই বক্সে শাড়ি জামা কাপড় বিক্রি করতে পারবেন অথবা সবজি বিক্রি করতে পারবেন। সরকার এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘কর্মই ধর্ম’ জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজ খাতরায় প্রশাসনিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে আরও একটি প্রকল্প ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ এর কথা জানান। এই প্রকল্পে প্রতিটি ব্লকে ১’লা ডিসেম্বর থেকে ৩১’শে জানুয়ারী অবধি ব্লক স্তরে দৈনিক ৮ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়া ও অভিযোগ শুনবেন সরকারী আধিকারিকরা সেই সাথে প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করবেন।
আজ আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র প্রকল্প শুরু করে শেষ করছে দ্রুত। আর ওই প্রকল্পে যারা কাজ করছে তারা বেকার হয়ে পরছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে দেরি করছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এত সমস্যার মধ্যেও অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন আটকে রাখেনি। সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান যে কেন্দ্র রাজ্য থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই মূহুর্তে রাজ্য সরকার ৪০% বেকারত্ব দূরীকরণে সফল হয়েছে তাই এই পরিবর্ত পরিস্থিতে বেঁচে থাকার জন্যে এই করমই ধর্ম প্রকল্পের অবতারণা।