দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাঁকুড়া সফরে গিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ’র ‘মধ্যাহ্ন ভোজন’ নিয়ে কটাক্ষ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ‘ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার এনে শুধু আদিবাসী বাড়িতে বসে খেয়েছেন অমিত শাহ। এবার বিকেলে সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করে বললেন, সিঙ্গুরে অনশনের সময় ‘বিরিয়ানি’ খেয়ে নাটক করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী!
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের আগেও যেমন দেখতে পাওয়া গিয়েছিলো ঠিক এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসীদের প্রকৃত ‘বন্ধু’ কে সেটা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে পশ্চিম অঞ্চলে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক টানাপোড়েনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ‘মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি’। নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে রাজ্যে এসে বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন শাহ। সেই ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর বাঁকুড়ার খাতড়ার সিধু কানহু স্টেডিয়ামে সরকারি প্রকল্প প্রদান কর্মসূচিতে যান মুখ্যমন্ত্রী।
সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করেন, ‘ফাইভ-স্টার হোটেল’ থেকে বাসমতী চাল এনে লোক দেখিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার মাননীয় হোম মিনিস্টার এসেছিলেন দেখানোর জন্য। বাইরে থেকে খাবার বানিয়ে (নিয়ে এসেছিলেন)। ওঁনাকে (বিভীষণ হাঁসদা) কিছু করতে দেননি। বাইরে থেকে ব্রাক্ষণ নিয়ে এলেন। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এলেন।’ মমতা দাবি করেন, ওই পরিবারকে শুধুমাত্র বলা হয়েছিল যে শাহ তাঁদের বাড়িতে এসে খাবেন। আর কিছু নয়। খাবার বাইরে থেকে আনা হবে। মমতার কথায়, ‘আপনারা দেখবেন, তরকারি কাটছে। কিন্তু সেই তরকারি খাননি। ধনেপাতা কোনও রান্নায় দেওয়া হয়নি। বাঁধাকপিও দেওয়া হয়নি, যা কাটছিল। খেয়েছে তো অন্য জিনিস। বাসমতী চাল, পোস্তার বড়া এরকম নানারকম। কাগজে দেখেছি।’
এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া সফরকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল পার্টিটা উঠে গিয়েছে না আছে সেটা তিনি দেখতে গিয়েছেন।’ ‘পাঁচতারা হোটেল’ নিয়ে কটাক্ষের জবাবে দিলীপ পালটা অভিযোগ করেন, “সিঙ্গুরে ‘বিরিয়ানি’ খেয়ে অনশন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই তিনি দলিত বাড়িতে ডাল-ভাতের মর্ম কিভাবে বুঝবেন।”