দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ইতিমধ্যেই কলকাতায় নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে সর্বমোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ। আর গোটা বাংলায় এই আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৬ লাখ অতিক্রম করল বলে। এরইমধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ও অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) তথা কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল-সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। মূলত করোনার দ্বিতীয় স্রোত (সেকেন্ড ওয়েভ) রোখা এবং করোনার টিকা বণ্টনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন মোদী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই আট রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
আজ ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’ তবে সেইসঙ্গে মমতা জানান, করোনা নিয়ে রাজ্যে এখনও সচেতনতার অভাব আছে। অনেকেই করোনা বিধি শিকেয় তুলে মাস্ক পরছেন না। তিনি বলেন, ‘মানুষ করছেন যে কোভিত-১৯ মহামারী শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধু উত্তর ২৪ পরগনার মানুষ মাস্ক পরছেন। বাঁকুড়ায় কেউ সতর্ক হচ্ছেন না। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে মহামারী চলে গিয়েছে।’
তবে আজ করোনা নিয়ে এই দাবির পাশাপাশি জিএসটি (GST) বাবদ কেন্দ্রের কাছে যে টাকা প্রাপ্য আছে রাজ্যের, তা আবশ্যিকভাবে মিটিয়ে দেওয়ার সওয়াল করেছেন মমতা। বাকি সাত রাজ্য অবশ্য সে বিষয়ে কিছু বলেনি। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৯,৯১৮। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩,৫৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার সেই সংখ্যাটা ছিল ৩,৫৯১। কিন্তু সেই দু’দিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যায় ২,০০০-রও বেশি ফারাক আছে। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪২,৩৬৭ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রবিবার সেই সংখ্যাটা ছিল ৪৪,৬৫৩। স্বভাবতই রবিবারের তুলনায় সোমবার ‘পজিটিভিটি রেট’ বেড়েছে। রবিবার ‘পজিটিভিটি রেট’ যেখানে ৮.০৪ শতাংশ ছিল, সোমবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮.৪ শতাংশ। সার্বিকভাবে অবশ্য রাজ্যে ‘পজিটিভিটি রেট’ ৮.২৬ শতাংশ।