দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গতকাল পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেচ ও পরিবহন মন্ত্রীর পদ থেকে অব্যহতি নেওয়ার পাশাপাশি তিনি হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পদ ও এর আগে এইচআরবিসি’র পদ থেকেও পড়ত্য়গা করেছিলেন। এই মূহুর্তে তিনি তৃণমূল দল ত্যাগ না করলেও; রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সেটাও এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা কারণ ইতিমধ্যেই দলের তরফ থেকে হুলিয়া জারি হয়েছে যে শুভেন্দু বাবুর সাথে কেউ যোগাযোগ রাখবে না। এরই মধ্যে মহিষাদলে ‘শিব সেনা’র পতাকার ছড়াছড়ি দেখে অনেকের মনেই সন্দেহ, তাহলে কি ‘শিবসেনার’ হাত ধরেই নতুন ভাবে লড়াই শুরু করবেন শুভেন্দু !
এর পাশাপাশি, গেরুয়া শিবিরের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বিজেপি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি) জানান, দলীয় পতাকা দেওয়ার অধিকার প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে। যদিও বিজেপি’তে শুভেন্দু অধিকারীর যোগদেবেন কিনা সে বিষয়ে এদিন নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। যদিও রেকর্ড জানাচ্ছে ২০০৯ সালে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে তমলুকে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। তার পর আর কোনও ভোটে মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক দলকে দেখা যায়নি। তাই এবারে এমন সময়ে শিবসেনার পতাকা ঘুরছে তমলুকে যে সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু বাবুর দল পরিবর্তণ নিয়ে আলোচনা জমে ক্ষীর। তাই লালমোহন বাবুর ভাষায় বলা যেতেই পারে ‘হাইলি সাসপিশাস’।
উল্লেখ্য, আগামী কাল অর্থাত্ রবিবার মন্ত্রী নন একজন জনতার সেবক এই শিরোনামে শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম অরাজনৈতিক সভা হতে চলছে মহিষাদলের ছোলাবাড়ি রাজবাড়ি প্রাঙ্গনে। আর তার আগে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বিভিন্ন এলাকায় উড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক শিবসেনার পতাকা। আর এই পতাকাগুলি যে ভোটের জন্যেই তৈরি তা তার বয়নেই স্পষ্ট যা পতাকাগুলির গায়ে প্রিন্ট করে রাখা আছে। আর এই পতাকা লাগানো নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা।


আগামীকাল শুভেন্দু’র সভার উদ্যক্তা তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। আর এই সমিতির সভাপতি স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। আগামীকালের সভায় প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। আর এই ঘটনার আগেই হাসপাতাল মোড়, থানা মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মতো মহিষাদলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শিবসেনার পতাকা চোখে পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে এই কারণে যে পূর্ব মেদিনীপুরে শিবসেনার কোনও সংগঠনই নেই। আর শুভেন্দুবাবুর বিজেপি’তে যোগদানের সে রকম গুজবে তেমন কিন্তু জোড় নেই। অন্যদিকে শুভেন্দু বাবু নিজের দল তৈরি’র বিষয়ে সর্বাধিক শীলমোহর পরছে। তাই শুভেন্দুবাবু যদি শিবসেনা যোগদান করেন সেক্ষেত্রে চমকানোর কিছুই নেই।
যদিও এই বিষয়ে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরাও মুখ খুলতে নারাজ। যদিও এই শিবসেনার বিষয়ে বিজেপি বা তৃণমূল কেউ ই গুরুত্ব দিচ্ছে না। তৃণমূলের বক্তব্য ভোট আসলেই এই জাতীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা এদিক সেদিক লাগিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এই প্রসঙ্গে তিলক চক্রবর্তী (মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি) জানান, এর আগেও ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা এলাকায় দেখা গিয়েছে। তবে এই বিষয় যে নতুন নয়, সেটাই বলতে চাইছেন তারা।