দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সামনে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির পাঁচ বহিরাগত পর্যবেক্ষকের আগমনের দিন থেকেই তৃণমূল প্রায় প্রতিদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। আজ যেমন উপস্থিত হলেন দলের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী শশী পাঁজা। তবে আজ কিছুটা অবাক করেই নিজেদের বিশিয়ে নয় বরং নিজেদের এক প্রাক্তনী’র বিষয়ে সরব তৃণমূল। আজ তৃণমূল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ‘অসম্পূর্ণ’ তথ্য জমা দেওয়ার অভিযোগ তুলল।
আজ শনিবার দলের মুখপাত্র এবং মন্ত্রী শশী পাঁজা তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে অর্জুন সিংহ তাঁর বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে অসত্য তথ্য জমা দিয়েছেন। এমনকি অর্জুনের দুবাইয়ের সম্পতির কথা নির্বাচনী হলফনামায় নেই।’ এই মূহুর্তে অর্জুনের বহুল আয়ের উত্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শশী। যদিও আজ সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের এই অভিযোগ ওঠার পরই পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন অর্জুন সিংহ। আজ শশী’র তোলা এই অভিযোগ নিয়ে অর্জুন সিংহ এর পাল্টা ‘এ বিষয়ে তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলন না করে আদালতে মামলা করা উচিত ছিল! ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল প্রমাণ করে দেখাক। দুবাইয়ে যদি আমার সম্পত্তি প্রমাণ করতে পারে আমি তার পার্সেনটিজ তৃণমূল কে দেব।’


উল্লেখ্য আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে হটাত্ করে অর্জুন সিংহকে টার্গেট করার পেছনে রয়েছে ছটপুজোর দিনে নৌসফরে করা অর্জুনের সেই বিতর্কিত মন্তব্য। সেদিন অর্জুন বলেছিলেন সৌগত রায়-সহ তৃণমূলের ৫ জন সাংসদ বিজেপিতে আসছেন। যদিও সৌগত নিজেই অর্জুনেরসেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আজ সেই প্রসঙ্গ তুলে শশী পাঁজা বলেন, ‘সৌগত রায়কে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। একজন বর্ষীয়ান নেতাকে অপমান করা হয়েছে।’ যদিও অর্জুনের দাবি, তিনি নিশ্চিত আগামী দিনে সৌগত রায় বিজেপির হয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলবেন।
আজ অর্জুন সিংহ’র প্রতি দোষারোপ করার পাশাপাশি শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে তোলে তৃণমূল। শশী পাঁজা বলেন, ‘বারবার বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলা। রাজ্যের প্রাপ্য ৫০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। বকেয়া রয়েছে জিএসটির ৭৭৫০ কোটি টাকাও। আমরা আমাদের প্রাপ্য চাইছি, ভিক্ষা চাইছি না।’ গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। আজ শশী এও বলেন যে বাংলা আমফান ঝড়ের জন্যে ৬৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। আর এখানেই বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০০০ এবং পড়ে ৫৭০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। তাহলে অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা সরকারের হাতে থাক উচিত! সেটা নিয়ে নিরব কেন তৃণমূল! নাকি সেটাও ভোটের আগে কাট মানি হয়ে পকেটে পকেটে ভাগ হয়ে গিয়েছে!