দ্য ক্যালকাটা মিরর: গতকাল মিটিং মিছিলে রাজ্য রাজনীতি ছিল সরগরম। একদিকে যখন শাসকপক্ষ সুর চড়াচ্ছে অন্য দিকে কিছুটা হতাশ করেই নমনীয় বিক্ষুব্ধ শুভেন্দু পক্ষ। যদিও তাতে তৃণমূলের অন্দরে স্বস্তির নি:শ্বাস। কারণ শাসক দলের কেউই চান না ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে কোনও বড় রকমের ‘ভাঙন’ দেখা দিক। যদিও ইতিমধ্যে মিহির ঘোষ সহ একাধিক নেতা বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন। তবুও সুর চড়ছে, পারাও চড়ছে।
আর সেই উত্তেজনার শুরু হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া’র মঞ্চ থেকে ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়া থেকে। আর এর পর পরই শুভেন্দুবাবু পদত্যাগ করেন। আর শুভেন্দু বাবু কোন পথে যাবেন সেই গতি প্রকৃতি নির্ধারণই এখন বঙ্গ রাজনীতির চর্চা। সেই রাজনীতির পারাকে স্বল্প গতি দিলেন গতকাল। শুভেন্দু বাবু মহিষাদলের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন “মানুষের মাঝে মানুষের জন্য মানুষকে নিয়েই কাজ করে যাবেন তিনি। জনতা আর জনার্দনকে নিয়ে তিনি থাকবেন বাংলার পথের ধারে।” আর এবারে সেই নীতিকে আঁকড়ে ধরেই আগামী ৩ ডিসেম্বর হলদিয়ার বুকে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দুবাবুর তথাকথিত ‘দাদার অনুগামী’রা।
অন্যদিকে মেদিনীপুরেই ঐদিন সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শুভেন্দুবাবুর পদযাত্রা সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক কিন্তু যেভাবে পোস্টার পরছে আর সেখানে যেভাবে শুভেন্দু বাবু কে প্রজেক্ট করা হচ্ছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমান্তরাল শক্তি হিসেবে উঠে আসছে এই তথা কথিত দাদার অনুগামীরা। আর এখন অনেকেই মনে করছেন তৃণমূল না ছাড়লেও এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের ক্ষমতাও জাহির করে দেখাবেন মেদিনীপুরের এই ভূমিপুত্র। ছেড়ে কথা তিনিও বলবেন না।
ইতিমধ্যে আজ নন্দীগ্রামে রস উত্সবের সূচনা করেন শুভেন্দু বাবু। যেখানে তাঁর গাড়ির সাথে সাথে বাইক বাহিনীকে চলতে দেখা যায় যাদের বাইকে, ‘ওম’ চিহ্নিত হলুদ রঙের পতাকা লাগানো ছিল। আর এই নতুন পতাকা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে তাহলে কি ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ‘দিদি’ বনাম ‘দাদা’র লড়াই?