দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন। এই ঘোষণার কিছুটা উন্নয়ন মূলক, কিছুটা ভবিষ্যতের উন্নয়ন আর বাকিটা নিজের মূল্যায়ণ। হ্যাঁ, আজ নবান্নে তথ্য প্রযুক্তি থেকে অন্নদাতা আন্দোলন, জমির খাজনা থেকে নিজের জীবনযাপন সব বিষয়ে গুছিয়ে উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখ নেওয়া যাক আজ তিনি ঠিক কী কী জানালেন-
আজ তিনি বৈঠকের শুরুতেই জানান যে এদিন রাজ্যে ক্যাবিনেটের বৈঠকে একাধিক বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সল্টলেক বিপরীত নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। বহু পরিচিত উইপ্রো (WIPRO) জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে সেই আরজি মেনে তাদেরও জমি দেওয়া হবে।
মমতা ব্যানার্জী আজ আরও জানালেন যে কলকাতায় আরও একটি ইউনিট খুলতে চলেছে ইনফোসিস (INFOSYS)। সবমিলিয়ে রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের জোয়ার আসছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, এই শিল্প তৈরি হয়ে গেলে বাংলার যুব সম্প্রদায় চাকরি পাবে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
তবে আজ বৈঠকে তিনি এও জানান যে শুধু কলকাতা বা নিউটাউন নয়। রাজ্যেরে বিভিন্ন প্রান্তেই এখন ঢালাও বিনিয়োগ হচ্ছে। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান যে জলপাইগুড়িতে একটি সিমেন্ট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে।
আজ জমির বকেয়া খাজনা নিয়েও একটি বড় ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। আবার মানুষের হাতে টাকারও অভাব রয়েছে। ফলে অনেকেই ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জমির খাজনা মেটাতে পারেননি। ভূমি আইন অনুযায়ী, সেই বকেয়া খাজনা মেটাতে হলে চড়া হারে (৬.২৫%) সুদ দিতে হবে। তাই ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে ওই বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না বলেও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাত্ ওই সময়সীমা এখন জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আজ এও জানিয়েছেন যে করোনা আবহে লকডাউনের ফলে বিভিন্ন সামগ্রীর ক্রয়বিক্রয় বন্ধ থেকেছে। এর ফলে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে কারিগর থেকে বিক্রেতা-সকলেই। এবার সেই ঘাটতি পূরণ করতে এবার সরকার মোট ৬১৭টি মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে এই সামগ্রী বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন কারিগর-বিক্রেতারা। এর ফলে উপকৃত হবেন পরতায় ৩.৬ লক্ষ মানুষ সেটাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।