দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ দুপুরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরের শুরুতেই ৩ শতাংশ ডিএ মিলবে। আর এর দরুণ রাজ্যের ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এদিন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সেই বৈঠকে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি। এরপরই মহার্ঘভাতা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন।
এই ডিএ ঘোষণা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি চলছে। রাজ্য সরকারের হাতে টাকা কম। তবু প্রতি বছরের মতো এবারও জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ ডিএ পাবেন আপনারা। যেখান থেকেই হোক টাকা জোগার করব।” আর আগামী নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে রাজ্য বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো ও ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকার বনাম সরকারি কর্মচারীদের একটি সংগঠনের মামলার হাইকোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে পুনরায় আবার মামলা করেছে। এমন আবহে যাতে রাজ্য সরকারী কর্মীরা বেঁকে না বসেন তাই অনেকেই মনে করছেন ভোটের মুখে ক্ষতে প্রলেপ দিতেই মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করলেন।
আরও পড়ুন: এবার কি তবে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদেরও পাশে পাবে না তৃণমূল! আবার মামলার জটে বকেয়া ডিএ
আজ সকালে এক টুইটে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিনের বৈঠকেও সে কথা তুললেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। শ্রমিকদের চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত। যে কোনও সময় চাকরি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় রাজ্যের কর্মচারীরা ভাল আছেন বলেই মত প্রকাশ করেন মমতা ব্যানার্জী।
আজ এই বৈঠকে রাজ্য রাজনীতির কথাও উঠে আসে। কিন্তু সরকারের চেয়ারে বসলে সকলেই তাঁর কাছে সমান বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের তাঁর পরামর্শ, “ভোটের সময় রাজনীতি করুন, ঠিক আছে। কিন্তু কাজের সময় আপনি সরকারি কর্মচারী। সে কথা ভুলবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের কথাও টেনে আনেন। বলেন, “আমিও রাজনীতি করি। কিন্তু এই চেযারে বসলে আমার কাছে সকলেই সমান।” কর্মচারী সংগঠনকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ডাক দেন। তাঁদের হাতে লিখে পোস্টারিং করা, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বঞ্চিত শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দেন তিনি।