দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ নবান্নে পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মীদের একটি সংগঠনের সাথে একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ বিতরকের মাঝেই আগামী জানুয়ারীতে ৩% ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাথে আজ তিনি জানান যে, রাজ্যে বহু শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। আর এই কোভিড আবহে স্কুল বন্ধ থাকার জন্যে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার বিষয়ও নেই। তাই সেই সমস্যা দূর করতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেবে রাজ্য সরকার যাতে তারা ভালভাবে অনলাইনের ক্লাস করতে পারে।
এর পড়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ প্রায় ২ বছর ২ মাস পর উদ্বোধন করতে যান মাঝেরহাটের ‘জয় হিন্দ’ সেতুর। বৃহস্পতিবার সেতুটির উদ্বোধন করার পাশাপাশি পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পুজোর মুখে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতুর মাঝের অংশ। মৃত্যু হয় ১ যুবকের। তার পর পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। রেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২ বছরের কিছু বেশি সময় পর তৈরি হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। যার ভারবহন ক্ষমতা ২৮৫ টন। দৈর্ঘ্য ৬৫০ মিটার। খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আজ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে এই সম্পুর্ণ টাকাটাই রাজ্যসরকার দিয়েছে, উল্টে রেল তার অংশের ব্রীজ তৈরিতে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে!


আরও পড়ুন: “এই পান্তাভাত খাওয়া, মুড়ি খাওয়া ছেলেটা আপনাদের জন্য লড়বে”: গড়বেতার সভায় শুভেন্দু অধিকারী
আজ এই উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর ট্রেনের ভাড়া নেওয়ায় রেলকে বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওদের এত হাজার হাজার কোটি টাকা। আর ৩৪ কোটি টাকা মকুব করতে পারল না? এই ৩৪ কোটি টাকা থাকলে কত গুলো স্কুল করা যেত!’ সেই সাথে আজ পথ নিরাপত্তায় পুলিশকর্মীদের জোর দিতে বলেন। বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরতে অনুরোধ করেন তিনি।


সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘জয় হিন্দ’ সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কোনও মোটরসাইকেল আরোহী যদি হেলমেট ছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে যান তাঁকে হেলমেট দেবে পুলিশ। আগামী ৩ দিন চলবে এই অভিযান। পুলিশ ও পূর্ত দফতর বহন করবে হেলমেট কেনার খরচ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন যে যাদের হেলমেট কেনার টাকা নেই তারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের থানায় এসে নিজেদের নাম ঠিকানা লিখে যাবেন পুলিশ তাদের হেলমেট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে
জয় হিন্দ সেতুর উদ্বোধনের ফলে নামখানা থেকে বেহালা পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের যানযন্ত্রণা লাঘব হবে। সঙ্গে সুবিধা হবে গঙ্গাসাগর যাত্রীদেরও। মাঝেরহাট সেতুর বিকল্প হিসাবে ২টি ব্রেইলি সেতু বানিয়েছিল সরকার। সেই সেতু দিয়ে এতদিন ধীরগতিতে হচ্ছিল যান চলাচল। এবার থেকে এই নতুন চার লেনের ব্রীজটি দিয়ে দ্রুত গতিতে চলাফেরা করা যাবে।