দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: চলতি সপ্তাহতেই পাহাড়ে দাঁড়িয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা রোশন গিরি জানিয়েছিলেন আজ ৬’ই ডিসেম্বর বিমল গুরুং জনসভাতে আসবেন। সেই মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গান্ধী ময়দানে হাজির হয়েছে সমর্থকরা। আর সেই মিটিং এ উপস্থিত হতে শনিবার রাতের দার্জিলিং মেল ধরে কলকাতা থেকে এনজেপির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন গুরুং। কিন্তু তার জনসভার মতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রেল অবরোধ!


সূত্রের খবর, আজ সকাল থেকেই ডালখোলায় আদিবাসীদের রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। ফলে আটকে পড়েছে দার্জিলিং মেল। আর সেই ট্রেনে থাকা গুরুংও আটকে রয়েছেন। সকাল ১০টায় সভা শুরুর কথা। তবে এখনো পর্যন্ত গুরুং ট্রেনেই আটকে রয়েছেন। ফলে সভার প্রাথমিক পুজা ও অন্যান্য উপাচার সম্পন্ন হলেও, শুরু করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: একে একে স্বচ্ছ আস্থাভাজন নেতাদের ‘অনাস্থা’ প্রস্তাব! এবারে হতাশার সুর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়
তবে সভার অবরোধ না উঠলে সড়ক পথে গুরুংকে ডালখোলা থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া বিষয়ে আলোচনা করছেন গজমুমো নেতৃত্ব। উল্লেখ্য পঞ্চমীর বিকেলে হঠাত্ গুরুংয়ের সাংবাদিক সম্মেলন হয় কলকাতায়। পুলিশের খাতায় ফেরার, ইউএপিএ (UPA)আইনে অভিযুক্ত গুরুং বলেছিলেন তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করতে চান। তিনি আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মমতাকেই।
আর এই আবির্ভাব নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় চাপান উতোর। উল্টোদিকে গুরুংদের বিরোধী যুদ্ধে বিনয় তামাং-অনিত থাপারাও নেমে পড়ে। বহুদিন বাদে পাহাড় আবার সরগরম হয়, মিছিলে মিছিলে গুঞ্জন ওঠে গুরুঙ্গ বিরোধী। অন্যদিকে তামাং-অনিত থাপাদের কে ডেকে নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণে আজকের সভার দিকে নজর রয়েছে বঙ্গ জনের। কারণ খাতায় কলমে গুরুং অপরাধী হলেও তাঁর অনুগামীদের কাছে তিনি এখনো সমান ভাবেই শ্রদ্ধেয়, তাই তাঁর অনুগামীদের তিনি কী বলতে চাইছেন সেদিকেই তাকিয়ে সব দল। কিন্তু অবরোধ কাটিয়ে কখন শিলিগুড়ি পৌঁছন গুরুং সেটাই দেখার।