দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আর মাত্র ১২-১৪ ঘণ্টা বাকি, আর তারপরেই মূলত: মেদিনীপুরে মাটিতে দাঁড়িয়ে বাঁকুড়া’র পর তৃণমূলের বড় সভা। শুধু সভা নয় এক কথায় অ্যাসিড টেস্ট বলা চলে। আজ রবিবার সন্ধ্যেতে সড়কপথেই মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে আগামীকালের সভাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে গোটা মেদিনীপুর। নেত্রীর ফ্লেক্স ও দলীয় গোটা শহরকে পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কালকের মঞ্চে থাকবেন কিনা সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। মূলত: শুভেন্দুকে জবাব দিতেই যে মেদিনীপুর থেকে মমতা তার দ্বিতীয় ধাপের জনসভা শুরু করছেন সে কথা বলাই বাহুল্য। আর সে কারণেই হাইভোল্টেজ এই সভাকে ঘিরে উত্সাহ ও উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা যারা নিজেদের কে ‘দিদির সেনা’ বলে উল্লেখ করছেন। ইতিমধ্যে আজ রবিবারই মহম্মদ রফিকের নেতৃত্বে হাতিহলকায় বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে জেলার অন্যান্য প্রান্তেও মিছিল হয়েছে। তবে কালকের সভার প্রস্তুতির জন্যে মেদিনীপুর কলেজ ময়দানের সভাস্থলে সাজো সাজো রব। প্রায় একশো কর্মী দিনরাত এক করে কাজ করছেন।
তবে করোনা আবহে বদল এসেছে মঞ্চের। এবার সব মিলিয়ে মোট তিনটি মঞ্চ হচ্ছে। আর মূল মঞ্চে থাকছে মাত্র সাতটি চেয়ার। সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, জেলা সভাপতি অজিত মাইতির সহ মত সাত জন VVIP থাকবেন। আর সেই মূল মঞ্চের দু’পাশে বাকি দুটি মঞ্চের প্রতিটিতে থাকছে ৫০ টি করে চেয়ার। একধারে থাকবেন বিধায়ক ও সাংসদরা। অন্যধারে জেলা কর্মাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে জেলা নেতারা থাকবেন।
আগামী কাল জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি মাঠ ভরানো নিয়ে নিশ্চিত। তিনি জানিয়েছেন যে,”দলনেত্রীর প্রথমে হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকায় মাঠটিকে অনেকটা এগিয়ে আনতে হয়েছে। কিন্তু শেষমুহুর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে মেদিনীপুর চলে এসেছেন।” তবে নেত্রীর এই শেষ মূহুর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন কিছুটা হলেও মানুষের ভিড় কমানোর জন্যে দায়ী হল এটাই স্থানীয় নেতৃত্বদের আক্ষেপ। তবে মূল মাঠ থেকেও বহু দূর পর্যন্ত মাইক বাঁধা হয়েছে। যাতে শহরের পরি অধিকাংশ মানুষই ভাষণ শুনতে পান।
কাল জেলা নেতৃত্বদের টার্গেট লক্ষাধিক জনসমাগম। বাস ও সবধরনের গাড়ি মিলিয়ে আগামিকাল প্রায় ৫ হাজার গাড়ি ঢুকবে মেদিনীপুর শহরে। তবে এই কর্মসূচিতে নতুন যোগ হয়েছে মাস্ক বিতরণ। কারোর মুখে মাস্ক না থাকলে প্রবেশপথে জনতার হাতে মাস্ক তুলে দেবেন তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকরাই। কড়া পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি এবার থাকছে ৩০ টি সিসিটিভিও। ফলে নিরাপত্তা-উত্তেজনা আর রহস্যে মোরা আগামীকালের জনসভা যে এক কথায় নতুন থ্রিল দেবে রাজ্য রাজনীতিতে সে বিষয় নিয়েই আজ সব যায়গায় চর্চা। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়, শুভেন্দু-অতীন-রাজীব দের তিনি বার্তা দেন!