দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাবা মা দুঁদে গোয়েন্দা। তাহলে কী এদের সন্তানরাও গোয়েন্দা হবে! বা তাদের সন্তানদেরও কী গোয়েন্দা বানানো যেতে পারে! হ্যাঁ এই রকমই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। আর এই মূহুর্তে এই গোয়েন্দা বিভাগে খান সাতেক শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, হাতে সময়ও কম। তাই এই মাসেই টপ গোয়েন্দার ‘টপারের’ সঙ্গে ফ্লোরার ‘বিয়ে’ দিতে চান গোয়েন্দা পুলিশ আধিকারিকরা। আর লালবাজার সে বিষয়ে গ্রীন সিগনালও দিয়েছে।
হ্যাঁ, চার বছর বয়সী পাত্রের নাম টপার। হলদেটে সাদা রঙের জাতে ল্যাব্রাডর পেশায় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। অন্যদিকে পাত্রীর নাম তিনবছরের ফ্লোরা। গায়ের রং পাত্রের মতোই। পেশাও এক। অর্থাৎ সেও গন্ধ শুঁকে বিস্ফোরক খুঁজতে দক্ষ। দুজনেরই মোটা মাসমাইনে বাঁধা। আর এদের বিয়ে নিয়েই এখন গোয়েন্দা বিভাগের ডগ স্কোয়াড ব্যস্ত।
গোয়েন্দা পুলিশের এক আধিকারিক সূত্রে খবর ডগ স্কোয়াডের ৪০ জন সদস্যের মধ্যে অনেক বাছাই করেই এই বিবাহ। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডগ স্কোয়াডে এই মূহুর্তে মোট কুকুরের পদের সংখ্যা এখন ৪৮। যার মধ্যে কর্মরত অবস্থায় থাকা ৪১টি কুকুরের মধ্যে কিছুদিন আগেই একটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। সেটি ছিল রোজা নামে একটি বেলজিয়ান শেফার্ড। তার পরিবর্ত হিসেবে একই জাতের অন্য একটি কুকুর শাবক আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারপরও সাতটি পদ শূন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপুলিস এসকোর্ট করে পৌঁছে দিলেন গুরুংকে! তাহলে কী রফা পাক্কা তৃণমূল-জিজেএমএম এর মধ্যে?
এর আগে কুকুরের প্রয়োজনে ডগ ব্রিডারদের কাছ থেকে নতুন কুকুর শাবক কিনে আনতো কলকাতা পুলিশ। খরচ ও বেশি ছিল সেখানে। এবার সেই খরচ এড়াতেই ডগ স্কোয়াড এর নিজস্ব কুকুর দিয়েই প্রজনন করানোর পরিকল্পনা। যদিও এর আগেও গোয়েন্দা কুকুরের প্রজনন হয়েছে। তবে ‘কনে’ পুলিশের হলেও ‘পাত্র’ ছিল বাইরের। এবার চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পর ‘পাত্র-পাত্রী’ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় টপার ও ফ্লোরাকে। আর তারপরেই এই প্রস্তাবে রাজি হন গোয়েন্দা কর্তারা।
পুলিশের পরিকল্পনা মাফিক এই নতুন যুগলের জন্ম নেওয়া শাবকগুলিকে কলকাতা পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তার ফলে শূন্যপদ পূরণ করার জন্য বাইরে থেকে আর কুকুর শাবক কিনতে হবে না। তবে খবর রয়েছে যে এখন থেকেই পাত্র-পাত্রী মেলামেশা শুরু করেছে। জমে উঠছে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা। তবে মিলনের সময় হলে দু’জনের একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। আর নতুন পুচকে ‘গোয়েন্দা’ অতিথির আশায় এখন থেকেই অপেক্ষায় পুলিশ স্কুলের ডগ স্কোয়াড।