দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ কলকাতা বিমানবন্দরে জয়ঢাক বাজিয়ে স্বাগতম জানানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা’কে। এদিকে কলকাতার রাস্তাজুড়ে ছেয়ে গিয়েছে তাঁর ছবি-নাম সহ পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন। তিনি শহরে এসেছেন দু দিনের সফরে। আজ বিমানবন্দরে নেমে তিনি কলকাতার হেস্টিংসে দলের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে যান। আজ সেখানেই তাঁকে কালো পতাকা দেখায় কিছু বিক্ষুব্ধ সমাজ কর্মী।
ওই বিক্ষোভকারীদের পোস্টারে কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একাধিক স্লোগান লেখা ছিল এবং তারা কালো পতাকা নিয়ে জড়ো হন হয়েছিলেন। কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীরা তাঁদের হঠিয়ে দেন। এতে কিছুক্ষণের জন্যে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশের হাতে প্রতিহত হয়ে রাস্তায় বসেই চিৎকার জুড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের স্লোগানে ধ্বনিত হয় ‘কালা আইন বাতিল করুন’।


আজ বিজেপি সভাপতি রাজ্যে পা রেখেই হেস্টিংসে বিজেপি’র সদর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বলেন,”বিজেপি সোনার বাংলা গড়বে। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি ২০০’-র বেশি আসন পাবে। মমতা সরকারকে উৎখাত করবে বিজেপি। বাংলা সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এখন সেই বাংলায় দুর্নীতি ভরে গিয়েছে। আমরা বাংলার সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।”
আরও পড়ুন: আজ সরকার ও কৃষক পক্ষ বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী’র বাড়িতে জরুরী বৈঠকে রাজনাথ-শাহ-নাড্ডা-তোমর
আজ হেস্টিংসে ঢোকার মুখে কাল পতাকা দেখানো নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে নাড্ডা বলেন, ‘বাংলায় ১৩০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। যখন তখন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহিষ্ণুতার সরকার চালাচ্ছেন।”
এই কালো পতাকা সহ বিক্ষোভকারী কারা সে বিষয়ে পুলিশ কোনও তথ্য দিতে পারেনি। যখন হেস্টিংসের অফিসে ঢুকছিল জেপি নাড্ডার গাড়ি তখনই এই কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। আর গাড়ি থেকে তিনি তা দেখতে পেয়ে পড়ে অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেন, “বাংলায় অপরাধ দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোকে রিপোর্ট দেওয়া বন্ধ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে মমতার সরকার।”