দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে এক দলীয় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন “রাজ্যে চাকরির জন্য কাউকে টাকা দেবেন না”। সেই সাথে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন যে যারা পরীক্ষা না দিয়ে ‘চাকরি’ পেয়েছেন তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ সম্ভব নয়!
এদিন গোপালনগরের জনসভায় মমতার মুখে ঘুরিয়ে ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গ! তিনি আজ বলেন, “চাকরি পাওয়ার জন্য কাউকে এক পয়সাও দেবেন না। যদি কেউ চায় তাহলে তার নামে এফআইআর করবেন। অনেকে বদমাইশি করে। পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগতরা ঢুকলে তাদের আটকান। বহিরাগতরা ঢুকলে তাদের নামে এফআইআর করুন। এফআইআর না নিলে আমাদের কার্যালয়ে জানাবেন।”
আরও পড়ুন: মহুয়া’র বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অবশেষে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে বিরোধীদের মতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগ বহু পুরোনো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন ঠিক তখন থেকে এই অভিযোগ উঠছে! তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগে প্রচুর টাকা উড়েছে আর সেই লাইনে ‘টেট, সিভিক পুলিশ, এসএসসি তো রয়েইছেই। বিরোধীদের আরও দাবি যে প্রতি ভোটের মুখেই তৃণমূল নেতারা মোটা টাকা আদায় করেছেন!
আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে কী মাননীয়া কার্যত স্বীকার করেই নিলেন যে রাজ্য সরকারী চাকরি পেতে এতদিন দিতে হয়েছে মোটা টাকা! এছাড়াও আজ রাজ্য সরকারের অস্থায়ী কর্মীদের উদ্দেশে ‘দিদি’ বলেন, যারা পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরির স্থায়ীকরণ সম্ভব নয়। মমতা জানান, আমার দ্বারা যতটা সম্ভব করি। কিন্তু আমাকে আইন মেনে চলতে হয়। তবে এই নিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে চাকরি দেওয়ার সময়ে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ‘দিয়েছেন’ এখন হটাত্ করে ভোটের মুখে এই ধরনের আইনি কথাবার্তা! তাহলে কী অশনি সংকেত অপেক্ষায় ২০২১ এ! এই প্রশ্ন নিজেই তুলে দিলেন।