দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচন। আর এবার তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি। ছয় মাস আগে থেকেই রাজ্যে নির্বাচনের পারদ চড়ে গিয়েছে। এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চপাণ্ডবকে অন হয়েছে এবার গতকাল রাজ্যে দু দিনের সফরে এসেছেন জে পি নাড্ডা।আর রাজ্যে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সভার দিনই গত ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল।
আজ বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হল ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কর্মসূচির। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়ের’ পাল্টা হিসেবে শুক্রবার থেকে এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন তৃণমূল কর্মীরা। রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় চলবে এই কর্মসূচী।
আজকের রিপোর্ট কার্ড এ তৃণমূল তুলে ধরেছে এক দশকে মোট ১১টি ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা। যা রাজ্য সরকারের মাইলস্টোন তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট কার্ডে এই কথাই প্রকাশিত করেছে দলীয় নেতৃত্ব। এর মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। যে কারণে একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্যে প্রতিটি পঞ্চায়েতে আর পৌরসভার দৌলতে ক্যাম্প করা হচ্ছে। এমনকি কোথাও কোথাও তো আবার ঘরে ঘরেও পৌঁছে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা; কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় সামান্য আহত
আজ তৃণমূলের এই রিপোর্ট কার্ডে বলা হয়েছে, রাজ্যবাসীর গড় আয় গত এক দশকে দ্বিগুণ বেড়েছে, অর্থাত যিনি ১০০ টাকা দৈনিক আয় করতেন তার আয় ২০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে জিডিপি (GDP)। শিল্প ও অনুসারি শিল্পক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা, ক্রীড়া, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বেড়েছে অনেকটাই। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, মিড ডে মিল, পোশাক বিলির উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫০টি কলেজ–সহ একাধিক নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, খাদ্যসাথী, আবাস যোজনা, নির্মল বাংলা, বিদ্যুত ও পানীয় জল, রাস্তাঘাট, কৃষকবন্ধু প্রকল্প, রূপশ্রী প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজ, কারখানা বেড়েছে ১৫ শতাংশ, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প প্রভৃতি। এক কথায় বাম আমলে মানুষের চরম দূরাবস্থা ছিল যেখান থেকে বার করে নিয়ে এসেছে তৃণমূল সরকার।
এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, এই মূহুর্তে প্রতিটি মঞ্চেই ‘দিদিমনি’ ও ‘দাদামনি’র বহিরাগতদের ভাষায় অর্থাত্ হিন্দিতে ভাষণ দিচ্ছেন। বিজেপি’র কর্মসূচীর নকল করে পাল্টা কর্মসূচী করছেন আর রাজ্যের পুলিশকে হাতের পুতুল করে ‘অরাজকতা’কে বাহবা দিচ্ছেন। মানুষ সব দেখছে এর জবাব মানুষ EVM এই দেবে। অন্যদিকে আজ বিজেপির প্রধান জে পি নাড্ডার গাড়িতে পাথর ছোড়ে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় মানুষ। সে বিষয়কে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশ নস্যাত করেছে। বিরোধীদের এই বিষয়ে দাবি, মমতা ব্যানার্জী যেভাবে রাজ্যে গণতন্ত্রকে রোজ টুঁটি চেপে হত্যা করছেন তাতে পরিষ্কার যে নিজের পরিবার কে বাঁচানোর জন্যে তিনি এখন যা খুশি করার করবেন।