দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার মৈত্রের “দুই পয়সার সাংবাদিক ” কু-মন্তব্যের প্রতিবাদে হলদিরাম থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করল উত্তর চব্বিশ পরগনার সাংবাদিকরা। এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পা মেলান বৈদ্যুতিন মাধ্যম, খবরের কাগজ ও ডিজিটাল মাধ্যমের সাংবাদিকরা। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলানো উত্তর চব্বিশ পরগনার সাংবাদিকরা মহুয়া মৈত্রকে বয়কটের ডাক দেন এবং তার ‘দুই পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। মিছিল শেষে বিমানবন্দরের এক নং গেটে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের প্রথমসারির সাংসদ মহুয়া মৈত্র বড় ‘ভুল’ করে ফেলেছেন। সংসদে তাঁর ভাষণ ভাইরাল হয়ে হয়ে এমন ট্রেণ্ড তৈরি হয়েছে, তাই বোধহয় সেই ট্রেন্ড তৈরির নায়কদের এবার তিনি সঠিক মূল্যতে মূল্যায়িত করলেন! খবর কভার করতে যাওয়া সাংবাদিক কে ‘দু পয়সার প্রেস’, এভাবেই সম্বোধন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘দু পয়সা’র কলমের খোঁচা কিন্তু বেয়নেটের থেকেও ধারালো! সংসদ আর সাংবাদিক গুলিয়ে ফেলেছেন ‘ম্যাডাম’
ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার, গয়েশপুরে। সেখানে একটি কর্মীসভায় গিয়েছিলেন মহুয়া। কর্মী সভাতে তিনি উপস্থিত কর্মীদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর এই কর্মীসভা যেনো মোবাইল রেকর্ডিং না হয়। এমন সময়ে আচমকাই তাঁর নজরে আসে যে এক সাংবাদিক সেখানে রয়েছে যিনি সেই খবরটা কভার করছিলেন। ব্যাস, এতেই মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠেন, “কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? কর্মী বৈঠক হচ্ছে। আর সবাই টিভিতে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, প্রেসকে সরান”।
ইতিমধ্যে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব, কলকাতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত, অপমানজনক। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে’।
কিন্তু প্রেসক্লাবের এই বিবৃতির পরও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি মহুয়া। তিনি টুইটার পোস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মাইস্টোরি তে লিখেছেন, “আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড। ” যার মর্মার্থ, তাঁর কথাগুলি হয়ত মানুষকে আহত করছে সেটি স্বীকার করছেন কিন্তু ক্ষমা চাইলেও তিনি যা বলেছেন, সেটা সঠিক। এমনটাই দাবি মহুয়ার। আর আজ সেই ঔদ্ধত্য’র তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই ধিক্কার মিছিল সংঘটিত হয়। ইতিমধ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও রজু করা হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আর আজ তারই প্রতিফলন দেখা গেল এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেটে।