দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শুভেন্দু অধিকারী কী তবে তৃণমূল ত্যাগ করেছেন পাকাপাকিভাবেই! কারণ এবার নিজের বিধায়ক অফিসের ঠিকানা বদল করলেন তিনি। নিজের মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি; এবার নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের ব্লক কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেললেন নিজের অফিস। এই অফিস সরানোর মূলে তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য ‘দাদা’ এর আগেই সৌগতরায়কে জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে চলা সম্ভব নয়।
এবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রেয়াপাড়া এলাকার তৃণমূল কার্যালয় থেকে অফিসে সরে গেল প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীর। তবে জল্পনা অন্য যায়গায়। এবার সে অফিসে তৃণমূলের নাম নেই লেখা রয়েছে ‘নন্দীগ্রামের বিধায়ক’। এই কারণে শুভেন্দু কী তাহলে তৃণমূল শব্দটাই তাঁর সাথে আর জুড়ে রাখতে চাইছেন না! তবে অনেকেরই প্রশ্ন শুভেন্দু কি ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাবেন? কারণ এই নতুন কার্যালয়ে লেখা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: কারা ‘খুন’ করতে চাইছে শুভেন্দু অধিকারীকে? কি বললেন তৃণমূল নেতা কনিষ্ক
তবে এই বিচ্ছেদ যে আসন্ন সেটা দু একদিন আগেই বোঝা গিয়েছিল। তিনি নিজের কোর কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করলেন আর এখন তিনি কলকাতায়। আরব এই মূহুর্তে জে পি নাড্ডা’ও কলকাতায়। ফলে জল্পনা একটা হাওয়াতে ঘুরছেই। অফিস আলাদা করার কারণ হিসেবে অনুগামীর মন্তব্য, ‘রোজ রোজ বিধায়কের কাছে বহু মানুষ এসে থাকেন। এই অফিসটি ছোট হওয়ায় বিকল্প বড় অফিস নেওয়া হয়েছে।’
যদিও এই মন্তব্যের ঠিক ১৮০ ডিগ্রি উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়ার মতে, ‘পুরনো অফিসে বিধায়কের অফিস থাকলে ভাল হত। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও তিনি এখনও দলেই রয়েছেন। তাই তিনি তাঁর বিধায়কের অফিস কেন সরিয়ে নিলেন তা একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই বলতে পারবেন।’
আর এই বিষয়ে জেলা বিজেপি’র বক্তব্য ‘শুভেন্দুবাবুর দেহটা তৃণমূলে, মনটা অন্যত্র। উনি সেটা ভালই বুঝতে পেরেছেন। তৃণমূলে কেউ থাকতে পারছেন না। শুভেন্দুর মতো যদি আরও কেউ বেরিয়ে আসে তাহলে দলটাই থাকবে না।’ উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আর সেই আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন শুভেন্দু। আর সেই ঘটনার পাক্কা দশ বছর বাদে সেই নন্দীগ্রামই এখন শাসক দলের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।