দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বুধবার দুপুরে বিধানসভাতে নিজের ইস্তফা জমা দিয়েই দুর্গাপুরের দিকে রওয়না হন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধ্যের দিকে তাঁর কনভয় বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলেরর বাড়িতে পৌঁছেছে। আর শুভেন্দুবাবু ঢোকার কিছুক্ষণ আগেই সেখানে প্রবেশ করেছেন আসানসোলের ‘রেবেল’ জিতেন্দ্র তিওয়াড়ি। আজ জিতেন্দ্র বাবু সকলেই প্রকাশ্য মঞ্চে ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে আর সুনীল বাবু তৃণমূল ও ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
পোস্টার লিখতে কাকে বারণ করব? এগুলো মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ
আজ সকালে সুনীলবাবু জানিয়েছেন, “ও বাংলার রাজনীতি কি বোঝে? সাংগঠনিক শক্তি যদি কোনও দলে মজবুত না হয় তাহলে সে দল বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। যে পয়সা নিয়ে রাজনীতি করে সে কি বোঝে। ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কখনও যুদ্ধ জয় করা যায় না। ওই স্তাবকেরা কথা বলবে, আদেশ দেবে সেটা মেনে নেব না। ওর থেকে আমাদের লেখাপড়া ও রাজনৈতিক শিক্ষা বেশি। এইভাবে দল চলতে পারে না।”
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র, সচিবের ইস্তফা পত্র নিতে অস্বীকার !
এই বিষয়ে তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন যে তৃণমূলের পুরোনো কর্মী ও নেতারা আজ চরম ভাবে বঞ্চিত। দলে আর তাঁদের কদর নেই। নেই সম্মান ও ক্ষমতাও। পদও দেওয়া হয় না তাঁদের। কার্যত তৃণমূল বিরোধী দল থাকাকালীন সময়ে যারা সব থেকে বেশি বিরোধীরা করেছিল তৃণমূলের, সব থেকে বেশি অত্যাচার চালিয়েছিল তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপরে তাঁরাই আজ এলাকায় এলাকায় তৃণমূলের হর্তাকর্তা বিধাতা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় সুনীল মণ্ডল ও শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার দেখা যায়। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘সুনীলদা আমরা শুভেন্দুদার সঙ্গে তোমাকেও চাই।’ এই ব্যানার নিয়ে পালটা দলেরই তুমুল সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। সাংসদ বলেন, “পোস্টার লিখতে কাকে বারণ করব? এগুলো মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ। যে যাকে ভালবাসে তার নামেই পোস্টার পড়ছে। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। দলের এটা দেখা উচিত। নেতাদেরই মাথাব্যথা বেশি হওয়া উচিত। সবাইকে নিয়ে লড়তে হবে।”
অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়াড়ি আজ সকালে বলেছেন “এখন ভাই ভাই করছে, আরে আপনাকে ভাই করা মানে বলবেন ভাগ দিতে হবে! কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন যার, তাকে আমি ভাই বলতে পারব না। আমার যা বলার আমি ‘দিদি’ কে বলবো।” অন্যদিকে আজ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মমতা ব্যানার্জী কুচবিহার থেকে জিতেন্দ্রকে ফোন করে জানিয়েছেন যে তিনি ফিরে এসে কথা বলবেন। কিন্তু তার আগে এই মধ্যবঙ্গের এই তিন নেতার সাক্ষাতকার কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে!