দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দীর্ঘ ৮ মাসের লকডাউনের পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসা। যদিও গত জুনে পর্যটনে ছাড় মিললেও স্থানীয মানুষদের আশঙ্কা ও বিক্ষোভের কারণে নতুন করে অচলাবস্থা শুরু হয়। এরপর পুনরায় কোভিড-১৯ ‘SOP’ জারি করে গত অক্টোবর থেকে খুলে গিয়েছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ অঞ্চল সহ পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ। যদিও এখন দাওয়াইপানি সহ অনেক গুলি যায়গা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পর্যটন ব্যবসা শুরু হলেও পর্যটন পরিবহন ব্যবসা’র সাথে যুক্ত মানুষগুলি পরেছেন নতুন সমস্যাতে।
লকডাউনের ‘বেরোজগারির’ সাথে যুক্ত হয়েছে পর্যটন পরিবহন কর আদায় নিয়ে পুলিশি অত্যাচার এছাড়া সড়ক কর আদায়, প্রদেয় করে কোনও রকমের ছাড় না মেলাও এই বিষয়ের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। আর দীর্ঘ ৬ মাসের কর খুব একটা কম ও নয়। এই মূহুর্তে যেহেতু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ আছেন। সে কারণে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার জন্যে গতকাল রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হন এইচএইচটিডিএন, বাগডোগরা ট্যাক্সি ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, এনজেপি ট্যাক্সি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, শিলিগুড়ি বিলাসবহুল ক্যাব ড্রিবারস অ্যাসোসিয়েশন এবং হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
আরও পড়ুন: কবে থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে বসছে শীত, জেনে নিন এবারে শীতের সাতকাহন
মূলত বৈশ্বিক মহামারী দ্বারা প্রভাবিত পর্যটন পরিবহন খাতের চাহিদা নিয়ে এইচএইচটিডিএন সহ ওই সংগঠন গুলি রাস্তায় নেমেছিল। পর্যটকদের পরিবহণ জরিমানা কিছুটা শিথিল করা, সড়ক কর শিথিল করা, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা এবং জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তারা। গতকাল তারা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ জানান।
এই বিষয়ে এইচএইচটিডিএন এর এক মুখপাত্রর সাথে কথা বলে জানা গেলো যে তাদের বক্তব্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু উত্তর বঙ্গে আছেন, তারা তাঁর দয়ালু হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং সেইসাথে তারা রাজ্যের মাননীয় পর্যটন মন্ত্রী শ্রী গৌতম দেবকে অনুরোধ করেছেন এই কঠিন সময়ে পর্যটন বাণিজ্যে যেন তিনি এই সংগঠনগুলিকে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেন। যদিও এই বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।