দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং এর যোগাযোগের পর থেকেই গুরুং এর পুরোনো দল মানে বিজেপি’র খোঁজে ছিল অন্য কোনও দল যারা মমতা-গুরুং এর জোট কে বেগ দেব। আর এবার বিজেপি’র প্রতি সমর্থনের কথা জানাল গোর্খা ন্যাশনাল লিব্যারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএফ), যা সুভাষ ঘিসিং এর হাতে গড়ে উঠেছিল।
১৯৮০ সালে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সুভাষ ঘিসিং এর নেতৃত্বে পাহাড়ে প্রথম সশস্ত্র আন্দোলনের সূচনা করেন জিএনএলএফ কিন্তু বর্তমানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উত্থানের কারণে পাহাড়ে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জিএনএলএফ। কমেছে সাংগঠনিক ক্ষমতা ও। কিন্তু আবার ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টাতে রয়েছে GNLF।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে জিএনএলএফের দার্জিলিং শাখার সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস একটি প্রথম শরীরী সংবাদ মধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন “২০১৯’এর লোকসভা নির্বাচনের সময় আমরা বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধেছিলাম, সেই জোট বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা রাখতে চাই।” বঙ্গ বিজেপিও এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন, দলের এক মুখপত্র জানিয়েছেন যে শীর্ষ নেতৃত্বদের সম্মতি রয়েছে। বঙ্গ বিজেপি জানিয়েছে জিএনএলএফের সঙ্গে জোট বেঁধে আসন্ন নির্বাচনে পাহাড়ে লড়বে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে করোনার পাশাপাশি নতুন আতঙ্ক প্রাণঘাতী ফাঙ্গাল ইনফেকশন!
আর শুধু GNLF নয়, গতকাল দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির সঙ্গে বৈঠকে বসেন দার্জিলিংয়ের একাধিক ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেই বৈঠকে প্রত্যেকে মন্ত্রী রেড্ডি’র সাথে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছেন ও এর পাশাপাশি ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। আর এই বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই জোট বাঁধার ঘোষণা করেন GNLF।
দিল্লি সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে জিএনএলএফের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভলিউশনারি মার্ক্সিস্ট, অল ইন্ডিয়া গোর্খা লিগ সহ দার্জিলিংয়ের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন। আর এই বৈঠকে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত ও ছিলেন।


এই বিষয়ে গতকাল সন্ধেবেলা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ইতিমধ্যে ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, এই কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (আরজেআই) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।” খুব স্বাভাবিক ভাবেই এবারের আসন্ন নির্বাচনে উত্তরের ভোট যে বিশেষ নজর করবে সে কথা বলাই বাহুল্য।