দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ আসানসোলের বিদায়ী মেয়র এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় তিনি বিজেপি-তে যোগদান করছেন না। তিনি ফের আইনজীবী হিসেবে নিজের পুরোনো পেশাতেই ফিরছেন এমনটাই জানিয়েছেন। এ দিন জিতেন্দ্র তিওয়ারির নিরাপত্তাতে কাটছাট করেছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, এদিন দশজন সরকারি নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে আটজনকেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যদি এই নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে জিতেন্দ্রকে কিছুই জানানো হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে বাকি দুই নিরাপত্তারক্ষীকেও জিতেন্দ্র ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। এই বিষয়ে জিতেন্দ্র’র আক্ষেপ, “এতদিন হয়তো আমার জীবন মূল্যবান ছিল, এখন আর নেই। যার কেউ নেই তাঁর ভগবান আছে।”
আরও পড়ুন: কবে থেকে রাজ্যে জাঁকিয়ে বসছে শীত, জেনে নিন এবারে শীতের সাতকাহন
জিতেন্দ্র তিওয়ারি গতকাল সকালে প্রথমে আসানসোলের পুর প্রশাসক এবং জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। আর এর পর বিকেলে তাঁর বিধায়ক কার্যালয় তৃণমূল দখল করে নেওয়ার পরই পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক দল ছাড়ার সিদ্ধান্তে শীলমোহর দেন। তবে দল ছাড়ার পর থেকেই বিজেপিতে তার যোগাযোগের খবর শোনা যাচ্ছিলো। কারণ বুধবার সন্ধ্যেতে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন। তবে জিতেন্দ্র সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।
আজ সকালেই আসানসোল থেকে কলকাতায় আসছেন সদ্য প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা। কলকাতায় নিজের মেয়ের সঙ্গে দু’ দিন কাটাবেন আর এরপর আসানসোলে ফিরে আইনজীবী হিসেবে নিজের পুরোনো পেশাতে বহাল হবেন। যদিও নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি জিতেন্দ্র। তাঁর দাবি, অরাজনৈতিক ভাবেও মানুষের পাশে থাকা যায়।
অন্যদিকে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন যে , জিতেন্দ্র বিজেপি-তে এলে তিনি মেনে নেবেন না। আর এর জবাবে জিতেন্দ্র বলেন, “উনি হয়তো কোনও কারণে আমার উপরে অখুশি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব আমার সম্পর্কে যাতে কারও এরকম ধারণা না হয়।” তবে রাজ্য রাজনীতিতে এই মূহুর্তে তৃণমূলের অবস্থা যে দোদুল্যমান সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।