দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শুক্রবার কোয়েল পাচার কাণ্ডের মূল কাণ্ডারী পুরুলিয়ায় অনুপ মাঝি উর্ফ লালার বাড়িতে তৃতীয়বার নোটিস দিতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর গোয়েন্দা’রা। তবে, অনুপ মাজি’র বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে বাড়ির সামনে নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে আসে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, নোটিশ অনুযায়ী কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আগামী ২১ ডিসেম্বর লালাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এই নোটিশ অ তা এড়িয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের এক অফিসার বলেন, “বারবার হাজিরা এড়ানোয় লালার উপর সন্দেহ বাড়ছিলই। এবার পরিবার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সে বুঝিয়ে দিল তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। চুরি না করলে সে পালাবে কেন!” উল্লেখ্য গত ২৭ নভেম্বর কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে পর পর দু’বার লালাকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তবে সে দু’বারই সময় চেয়ে পাল্টা আইনি চিঠি দিয়েছে লালা।
আরও পড়ুন: ২০২১ শে ক্ষমতায় এলে গুরুং কে সহায়তা? গোর্খাল্যান্ড না অখণ্ড বাংলা! নাকি সাপ মারলেন লাঠিও ভাঙলো না!
এর আগের দুবার গোয়েন্দারা তার আইনি আবেদন মেনে ‘সময়’ দিয়েছিল। কিন্তু আধিকারিকদের মতে তৃতীয়বার হাজিরা এড়ালে আইনের পথে কী করা হবে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে লিগ্যাল সেলের সঙ্গে আলোচনা সম্পুর্ণ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এবার হাজিরা এড়ালে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে লালায় বিরুদ্ধে জারি হবে গ্রেফতারি পরোয়ানা। আর তখনও যদি লালা ফেরার থাকে তাহলে সিবিআই এর তরফ থেকে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে ফলে দেশ ছেড়ে পালানও ঠেকাতে জন্যে প্রত্যেকটি বিমানবন্দর, জাহাজ বন্দর এবং আন্তর্জাতিক সীমানায় লালার পাসপোর্ট নম্বর ও ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশ ছাড়ার কোনও গতিবিধি নজরে এলেই গ্রেফতার করা হবে লালাকে। যদিও লালা কম চালাক নয়। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছে লালা। যদিও সেই আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি। তবে সিবিআইও লালার আগাম জামিন আটকানোর জন্য সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে।