দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে জরুরী বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রীমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না, একথাই তিনি তাঁর দলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বুথস্তরের কর্মীকে জানালেন। ইতিমধ্যে আজ সকাল থেকেই একে একে অনেকে দল ছাড়ার কথা শোনা গিয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারী, শীলভদ্র দত্ত’র দলত্যাগ সহ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে তৃণমূলে ভাঙন স্পষ্ট এখন। কিন্তু এই ভাঙ্গন দেখেও আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৈঠক সূত্রে খবর, আজকের বৈঠকে মমতা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন “যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা দলের বোঝা। তৃণমূল মোটেই উদ্বিগ্ন নয়।”
বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ‘আইপ্যাকের’ ছাপা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূলের কাজে কর্মে। এখন প্রতিদিনই নেতা মন্ত্রীরা সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। সেই সাথে সারা বছর যাদের মুখ দেখা যেত না, তাঁরাও সামনে আসছেন। আর প্রশান্ত কিশোরের নিয়ম মেনেই কর্পোরেট নীতির মত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজকের বৈঠক অন্য কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ দলের হেভিওয়েট নেতাদের কয়েকজনের একসাথে বেরিয়ে যাওয়া পর মূটা ব্যানর্জী কী বার্তা দেন তাঁর ওপর নজর ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। আজ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা, রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সির পাশাপাশি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুন: ববি হাকিমের কটাক্ষের জবাব দিতেই কী টাকা ফেরত দিচ্ছেন শীলভদ্র!
আজ এই বৈঠকে দলনেত্রী বলেছেন, “বড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলে কে এল, দল থেকে কে গেল তা নিয়ে দল একেবারেই চিন্তিত নয়। যাঁরা যাচ্ছেন বা বেসুরো হয়েছেন তাঁরা দলের বোঝা ছিল। এক ইঞ্চি জায়গাও না ছেড়ে এই নির্বাচনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।” আজ মমতা ব্যানার্জী নির্দেশ দিয়েছেন যে তৃণমূলের প্রচার উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই চলবে। এখানে দলের কেউ ই মুখ নয় এবারের নির্বাচনে মুখ হবে শুধুই ‘ উন্নয়ন’ গত ১০ বছরে রাজ্যে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ হয়েছে সেটাকে সামনে রেখেই মানুষের কাছে পৌঁছনোর বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই শাসক দলের ‘দুয়ারে সরকার’, ‘বঙ্গধ্বনি’র মতো বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচি জনমানসে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছে। আর সেই উন্মাদনাকে হাতিয়ার করে জনসংযোগে আরও জোর দিতে চাইছে শাসকদল। আজ দলনেত্রী বৈঠকে উপস্থিত সকলকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘দল অনেক বড়। মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সবাই মিলে নির্বাচনে ঝাঁপাতে হবে। তাহলেই জয় নিশ্চিত।’ তবে আগামী কাল মেদিনীপুড়ে আসছেন অমিত শাহ, আর সেখানেই শুভেন্দু সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর। সুতরাং কাল রাজ্যের রাজনীতির চিত্রপটে কোন দৃশ্য লেখা হবে সেদিকেও নজর থাকবে জনতা জনার্দনের।