দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুর সফরে ‘সুরক্ষা’ ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার থেকেই রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনে তত্পরতা তুঙ্গে ছিল। সেই সাথে আজ, গেরুয়া শিবিরও শনিবারের মেদিনীপুর সফরে নিরাপত্তার আলাদা ব্যবস্থা রাখছে। গতকাল সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের সভাস্থলে ডিআইজি (মেদিনীপুর) ভি সলেমন নেশাকুমার, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রমুখ সহ একটি বিশাল পুলিশের দল পর্যবেক্ষণে আসেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী,মেদিনীপুরে আনা হয়েছে বিভিন্ন থানার আইসি-ওসিদের। এর আগে গতকাল, শুক্রবার, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, শাহের যাত্রাপথে কোনও বিক্ষোভ বরদাস্ত করা হবে না। আর মেদিনীপুরে শাহ’র কর্মসূচির অন্তর্গত রাস্তায় সবমিলিয়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে প্রায় ২৫০০ জন।


উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ডায়মণ্ড হারবার যাওয়ায় পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আর তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ও চরমে পৌঁছেছে। ইটমধ্যে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ভার্চুয়াল মিটিং এর মধ্যমে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজি’কে সতর্ক করে দয়া হয়েছে যে যাতে এই ধরণের ঘটনা আ না ঘটে। ওই একই ঘটনার রেশ ধরে শাহের মেদিনীপুর সফরেও যেন এমন অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে তাই রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি দলের তরফে বিশেষ নিচ্ছে বিজেপিও।
এই প্রসঙ্গে দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জানিয়েছেন,দুর্বৃত্তদের রোখার জন্য দলের পক্ষ থেকেওসফরসূচির সব জায়গায় পৃথকভাবে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। গতকাল মেদিনীপুর শহরে এসে দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”জে পি নড্ডার ক্ষেত্রে পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন কিছু হলে কিন্তু মেনে নেবো না। দলের কর্মীরাও থাকছেন সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। আমরা এখানকার প্রশাসনকে ভরসা করি না!”
তবে এখনো অবধি যা খবর তাতে রাস্তাতে থাকবেন যুবকর্মীরা। তবে কে, কোথায় থাকবেন, সে সব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দু একদিন আগেই। আর পুলিশের পাশাপাশি তারাও যাত্রাপথের অনেকটা অংশ জুড়েই ‘মানবশৃঙ্খল’ তৈরি করবেন তাঁরা। এখনো অবধি সূচী অনুযায়ী শাহ মেদিনীপুর থেকে শালবনির কর্ণগড়ে যাবেন আবার সেখান থেকে মেদিনীপুরে ফিরবেন তিনি। এই মেদিনীপুর থেকে কর্ণগড়ের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র কর্মসূচির এলাকাগুলিতে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর যাত্রাপথে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ এই সম্পুর্ণ যাত্রাপথের সুরক্ষা পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকছে।