দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিমলা’য় বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিয়ে দমদম বিমানবন্দর থেকে বিশেষ সেনা কপ্টারে মেদিনীপুর পৌঁছলেন। আজ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে জনসভা রয়েছে। কিন্তু সেই জনসভাতে পৌঁছনোর আগে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করছেন অমিত শাহ। আজ শনিবার বেলা ১২ টার কিছু পরে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আবাসের স্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে হেলিকপ্টার। অমিত শাহ’র সাথে একই কপ্টারে ছিলেন দিলীপ, কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ আরও দু একজন নেতৃত্ব। সেখান থেকে তিনি রওনা দেন হবিবপুরে ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতে।


ক্ষুদিরামের মূল বাড়ি কেশপুর ব্লকের মোহবনী গ্রামে। সেখান থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছেছিলেন ওই বিপ্লবীর আত্মীয়রা। আজ প্রথমে ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করে অমিত শাহ। বিপ্লবীর আত্মীয়রা ক্ষুদিরামের জন্মভিটার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে। এর পাশাপাশি তাঁরা এও অভিযোগ করেন যে দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনেন অমিত শাহ। সেই সাথে নিকট আত্মীয়দের স্মারক দেন ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।


ক্ষুদিরামের মাসির বাড়িতে মিনিট তিনেক ছিলেন অমিত। সংবাদ মাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ”ক্ষুদিরামকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ক্ষুদিরাম যেমন বাংলার, তেমন ভারতেরও। তিনি গীতা হাতে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন।” এর পর তিনি সেখান থেকে রওনা দেন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে।
আজ অমিত শাহ’র মেদিনীপুরের একাধিক মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়-ও। প্রথমেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। সেখানে পুজো দেন তিনি। তার পর মহামায়া মন্দির এবং কর্ণগড় মন্দিরেও পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। কর্ণগড়ের বালিজুড়িতে স্থানীয় একটি পরিবারের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন তিনি। সেখান থেকে রওনা দেবেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে, জনসভার উদ্দেশে।