দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ মেদিনীপুরের সভাতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করলেন, এই দুর্নীতিবাজ তৃণমূলকে হারাবে বিজেপির বঙ্গ ইউনিটই। আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই ভূমিপূত্র। সুতরাং অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত করেই দিলেন আজ যে কে হতে চলেছেন বিজেপি’র বাংলার আসন্ন মুখ্যমন্ত্রী’র মুখ। আজ অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে এসেছে মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার কথা, আর সেই কথার ধারা বজায় রেখেই অমিত শাহ’র বক্তব্য এবার বাংলায় বিজেপি ২০০-র বেশি আসনে জিতবে। মানুষের কাছে তিনি আজ দাবি করে বলেন বাংলার পরিবর্তন আসছেই এবং তা আসতে চলেছেন বিজেপির বঙ্গ ইউনিটের হাত ধরেই। আজ মেদিনীপুরের মাঠে মানুষের ভিড় ছিল দেখার মত।
উল্লেখ্য, বিজেপি ক্খ্মতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল ঊর্ধমুখী। এটা সত্য যে এই মূহুর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতদিকে দাঁড়ানোর মত নেতা ছিল না বিজেপিতে। কিন্তু আজ সেই জায়গাটা কিছুটা হলেও শক্ত হল এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তাই আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে একটি নামের দরকার ছিল। তাই আগেও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদ হিসেবে উঠেছিল দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী, সৌরভ গঙ্গাপাধ্যায়ের নামও।
আরও পড়ুন: বিজেপি তে যোগ দিয়েই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ উল্লেখ করে তৃণমূলকে দুর্নীতিবাজ দল বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!
অবশেষে আজ শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিতে সমর্থ হল বঙ্গ বিজেপি। আর আজই অমিত শাহ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলার ভূমিপূত্রই। আর বাংলার ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আর কোনও দ্বিধা নেই। শুভেন্দুকে দলে নিয়ে অমিত শাহ এদিন বুক ফুলিয়ে বলে দিলেন বাংলার ভূমিপুত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ত্রিপুরা থেকে ২৫ বছরের বামফ্রণ্ট সরকারকে হটানোর পর বাংলা থেকে তৃণমূলকে উত্খাত করাই লক্ষ্য ছিল বিজেপির। দু-বছর আগেই তাই বাংলাকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। সেই লক্ষ্য মতোই ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে ঝটকা দিয়েছে বিজেপি। এবার বিধানসভা নির্বাচনে খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলকে যে যথেষ্ট চাপ ভোগ করতে হবে সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই।