দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সাড়ে তিনবছর ‘ফেরার’ ছিলেন বিমল গুরুং। তারপর পুজোর আগেই পঞ্চমীর দিনে আচমকাই কলকাতায় দেখা মেলে তাঁর। আর উদয় হয়েই জানান বিজেপি তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। তিনি সেই মিটিং এ জানিয়েছিলেন আসন্ন নির্বাচনে তিনি প্রতিদন্ধিতা করছেন আর গোর্খাল্যাণ্ড এর দাবি ই হবে তাঁর এই নির্বাচনে লড়াই করার হাতিয়ার। সেই সাথে তিনি এটাও জানান যে মমতা ব্যানার্জীকে সম্পুর্ণ সমর্থন করবে তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আর আজ সাড়ে তিন বছর পর দার্জিলিং এ একই মঞ্চে বসে, বিমল গুরুং ও রোশন গিরি।
গত দুই সপ্তাহে দুটি বড় সভা করেছেন উত্তরে। একদিন যে গুরুং কে পুলিশ সভা করতে দেয় নি। সেই গুরুং এখন বুক ফুলিয়ে সভা করেছে প্রথমে শিলিগুড়ি ও পড়ে ধুপগুড়িতে। এবার পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে আগামী দিনে তৃণমূলের হাত ধরেই হাঁটতে চান মোর্চা নেতা। আর সেই উদ্দেশ্যেই আজ দার্জিলিং এর চৌক বাজারে ঐতিহাসিক সভা বিমলের। তবে তাঁর আবার ফিরে আসাকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সাড়ে তিন বছর পর আজ দার্জিলিংয়ের মোটরস্ট্যান্ডে সভা কিন্তু তার আগেই আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকরা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁকে। রাজেশ লাকরা বলেন, ‘গুরুং যদি সভা করে, তাহলে আগুন জ্বলবে।’


সূত্রের খবর, সমস্যা গত শুক্রবার বিরাটাকার নেয়। ওইদিন ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে একটি সভা করেন গুরুং। তিনি দাবি করেন, সোনম লামা নামে এক ব্যক্তি বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হতে চলেছেন। ওই সোনম লামা বেশ কয়েকজন শীর্ষ তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি মোর্চা নেতার। আর তাতেই ক্ষুব্ধ আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। নাগরাকাটাতে মোর্চা নেতার পালটা সভা করেন বিকাশ পরিষদের নেতারা। সেই সভাতেই মোর্চা নেতাকে হুঁশিয়ারি রাকেশ লাকরা। শোনা যাচ্ছে, রবিবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতারা একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন। সেই মঞ্চ থেকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ানোর আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।






এদিকে, শনিবারই পাহাড়ে ওঠার মুখে পঞ্চনই দলীয় দপ্তরে বৈঠক করেন বিমল গুরুং। ইতিমধ্যেই সভা চলছে। গুরুং পৌঁছে গিয়েছেন মঞ্চে। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতেই চলছে এই সভা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, বর্তমানে জিটিএ থাকায় প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতা বিনয় তামাং এবং অনীত থাপার দখলে। তামাং ও ভালভাবে নিচ্ছেন না গুরুংকে। তাই সাড়ে তিন বছর পর আজ দার্জিলিংয়ের সভায় ঠিক কতটা জনসমর্থন আদায় করতে পারেন বিমল গুরুং সেদিকেই তাকিয়ে আছে পাহারবাসী সহ রাজ্য রাজনীতির কাণ্ডারীরা।