দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মধ্যমগ্রামের রাজবাটী এলাকায় দিনে দুপুরে দুর্ধর্ষ শ্যুট আউট। পেশায় প্রমোটার অশোক সর্দার নামে ওই ব্যক্তিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতি। তাকে খুন করার জন্যই এসেছিল দুষ্কৃতিরা এমনই মনে করছে পুলিস। খুব কাছ থেকে গুলি চালানোয় কোনরকম ভাবে আত্মরক্ষার সুযোগ পাননি ব্যবসায়ী। মৃত ব্যবসায়ীর বুকে, পায়ে সহ শরীরের একাধিক জায়গায় গুলি লেগেছে। ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে জওয়া হলে তাকে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে আজ সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর একটি জমির পাঁচিল তোলার কাজ করছিলেন তিনি। সেসময় আচমকা সেখানে বাইকে করে এসে দাঁড়ায় দুষ্কৃতীরা। আর তাকে টার্গেট করেই গুলি চালায়। যদিও কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের নিমেষে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সেই শ্যুটাররা। ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পাওয়া যায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিই চালিয়েছিল দুষ্কৃতিরা।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যবসায়ীর সাথে সম্প্রতি কারোর কোনও গণ্ডগোল বা ঝগড়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখেছে। এমনকি ওই ঘটনায় সুপারি কিলারদের কাজে লাগানো হয়েছিল কিনা সেভাবনও উড়িয়ে দিচ্ছেনা পুলিশ। যদিও আঞ্চলিক বিজেপির কর্মীদের দাবি অশোক সর্দারের ছেলে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করত। সেকারণেই শাসকদলের আশ্রিত গুণ্ডারা অশোক সর্দারকে খুন করেছে।
যদিও মধ্যমগ্রাম বিজেপির’ এই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস অস্বীকার করেছে। উল্টে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বর পাল্টা দাবি প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই এই শ্যুটআউট। শাসকদলের আস্থা যে পুলিস দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে টিটাগড়ে এরকম কায়দাতেই শ্যুট আউট হয় আর তাতে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুল্ক। সেই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে গড়িয়ে দিয়েছিল অনেকটাই জল। এমনকি মণীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিল বিজেপি। যদিও এই মূহুর্তে সেই শ্যুটার CID’র হাতে গ্রেফতার এবং জানা গিয়েছে পুরোনো বিবাদের জেরেই সেই খুন! তবে এখানে কী কারণ সেটা সময়ই বলবে।