দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ থেকে হুশিয়ারি কোনটা থেকেই বাদ রাখেনি তৃণমূল। ইতিমধ্যে তৃণমূল মুখপাত্র সৌগত রায় কোন শর্তে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন তা প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সরব। আর আজ মঙ্গলবার দলবদলের পর কেতুগ্রাম থেকে প্রথমবার একজন বিজেপি কর্মী হিসেবে মঞ্চে উঠেই প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন শুভেন্দু। আজ প্রকাশ্য মঞ্চে হাজার হাজার মানুষের সামনে জানালেন, অমিত শাহ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে বিজেপিতে যোগদানের আগে ঠিক কী শর্ত রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আজ শুভেন্দু তাঁর ১০ মিনিটের বক্তৃতাতে বলেন, “এই দলটা (তৃণমূল) একটি কর্পোরেট কোম্পানিতে পরিণত হয়ে গেছে। এই দলটা দু-একজন মিলে চালাচ্ছে। তাই যাদের আত্মসম্মান বোধ আছে তারা কখনও তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে না”।


এই কথা বলার পর তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কারণ প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমি যখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার আগে অমিতজি, দিলীপদা, কৈলাসজির সঙ্গে বৈঠক করেছি। বলেছি কোনও শর্ত নেই, শর্ত একটাই, তোলাবাজ ভাইপোর থেকে বাংলাটাকে বাঁচান”।
এর পরই ‘ভাইপো’কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলে ওঠেন, “কয়লা পাচার হয়ে গেছে, ধরাও পড়ে গেছে। গরুপাচার হয়ে গেছে ধরাও পড়ে গেছে। বালির ট্রাকের চাকায় রাস্তার তছনছ দশা। এবার যদি জিততে পারে কিডনি পাচারটা বাকি আছে। ওটাই হবে।” আর একথা বলার পরই বিজেপির প্রতি তাঁর আনুগত্য বোঝাতে শুভেন্দু বলেন, ‘পার্টিকে বলবো আমাকে MLA (এম এল এ ) টিকিট দেওয়ারও দরকার নেই। যেখানে বলবেন যাবো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা খাটবো’।
উল্লেখ্য গত শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দু হুংকার দিয়েছিলো ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’। এদিনও তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করলেন, তাঁর মূল লড়াই ভাইপোর বিরুদ্ধে আর পিকে’র ওপর এই দল এখন কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।