দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:উৎসবের মুখেই এবার খুশীর হাওয়া খড়গপুরে।মঙ্গলবার তেলুগু ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে বিষয়টিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছেন রাজনৈতিক মহল। বলা হচ্ছে একুশের নির্বাচনের মুখে তেলেগু ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আদতে খড়গপুর বাসীর মন জয় করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। যাতে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে নির্বাচনী ভোট ব্যাঙ্কের ওপর।
উল্লেখ্য রেলশহর খড়গপুরের অধিকাংশ বাসিন্দাই দক্ষিণ ভারতীয়। তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের ভাষাই তেলেগু হওয়ায় স্থানীয় বিধায়ক প্রদীপ সরকারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।প্রসঙ্গত এদিন নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন “খড়গপুরবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে তেলুগুকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই ভাষার নিরিখে তেলেগুভাষীরা এ রাজ্যে ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পেলেন। “
এছাড়া তিনি জানান আগে রাজ্যে হিন্দি, উর্দু, নেপালি, গুরুমুখী, ওড়িয়া ভাষা ছিল সরকারি ভাষা। পরবর্তীকালে তাতে যুক্ত করা হয় রাজবংশী, কামতাপুরি, সাঁওতালি ভাষা। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন ভাষা তেলুগু।এরপরেই রাজনৈতিক মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে একদিকে যখন বাংলা দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির বাংলা বলা অভ্যাস করছেন তখনই দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা তেলেগু-কে আপন করে নিঃসন্দেহে নতুন চমক দিল রাজ্য সরকার।