দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বঙ্গ রাজনীতির এখন কেন্দ্রবিন্দু বোলপুরের ‘শান্তিনিকেতন’। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিশ্বভারতী সফর গিয়েছিলেন, মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন এক বাউল পরিবারে। এর পর তাঁর মেগা রোড শো। যা নিয়ে এখনও চর্চা তুঙ্গে। এমত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৪’শে ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনে উপস্থিত সকলের সামনে ভাষণ দেবেন এটাই ঠিক ছিল।
এখনো পর্যন্ত সেখানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে ঠিক হয়েছিল। অজানা কারণে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর সূত্রের খবর অনুযায়ী, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুমকি দিতেই আজ আমন্ত্রণপত্র চলে এল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এই ঘটনার ফলে আবার একই মঞ্চে আসতে চলেছেন মোদী-মমতা!
উল্লেখ্য, এর আগেই অমিত শাহ বোলপুরে পৌঁছনর দিন সকালে ‘পোস্টার’ নিয়ে একটি বিতর্ক দেখা গিয়েছিলো। আর তা হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন যে বিশ্বভারতীকে নিয়েও রাজনীতি করছে বিজেপি। তবে এদিন অনুব্রত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিতেই নাকি বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য। তবে যেহেতু আগে জানানো হয়নি তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতুহল রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোলপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপি’র লোক’ তকমা দিয়েছিলেন। অনুব্রত’র অভিযোগ ছিল, বিশ্বভারতীতে ‘নোংরা’ রাজনীতি হচ্ছে। এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত বলেন, “এক পাগল ভিসি। ও যদি মনে করে যা খুশি তাই করব। তাহলে মানব না। এতদিন বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনীতি করিনি। এবার করব।” আর এই উক্তির পরেই উপাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো রাজ্য রাজনীতিতে যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।