দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:প্রতিববছরের ন্যায় এবছরেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ব বাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব। আজ সন্ধ্যায় উন্মুক্ত মুক্তমঞ্চে মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের সূচনাও হয় তাঁর লেখা গান দিয়েই। যদিও সেই অনুষ্ঠানে স্পষ্ট ছিল করোনা আবহের ছাপ। তাই মাস্ক স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে সমস্ত করোনাবিধি মেনেই আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠান।
এদিন মেলা প্রাঙ্গণ থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গীত দুনিয়ার মানুষদের বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আর্জি জানান ।এছাড়া এদিন তিনি বলেন “সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় জায়গা হল সঙ্গীত। মানবজীবনে কোনও বিভেদ নেই। এরকম সঙ্গীতমঞ্চ বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এই পরিবারকে দয়া করে ভাঙতে দেবেন না। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান। বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না।”


এছাড়াও এদিন তিনি জানান ‘‘ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে সারা বাংলায় ৬৩০টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এর ফলে এই পরিস্থিতি শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক ঝাঁক শিল্পী।ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রও। সকলের সাথেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ খোশ মেজাজেই দেখা যায়।শুধু তাই নয় আদিবাসী শিল্পীদের নাচের সাথেই এদিন পা মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকেও।
এছাড়া এদিন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্রকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘ও আকাশ সোনা সোনা’ গান গাওয়া হয়। সেই গানের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ও আকাশ সোনা সোনা এই গানটা আমার প্রিয়। কিন্তু সোনার রত্নকে আমার হারিয়ে ফেলেছি।”এছাড়াও এদিন জানানো হয় , কিংবদন্তি শিল্পী তথা সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ ও ‘সঙ্গীত সম্মান’ জানান হয়েছে মোট ২২ জন শিল্পীকে।জানা গেছে ২৪ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত , আটদিনব্যাপী এইমেলা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ১০টি প্রেক্ষাগৃহে।মেলায় অংশগ্রহণ করবেন পাঁচ হাজারেরও বেশি সংগীত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা।