দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দুটি বড় ঘোষণা করলেন। টাটা’র ন্যানো কারখানা চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১০ বছর কেটে গিয়েছে। এই সিঙ্গুরের মাটিকে আঁকড়ে ধরেই ক্ষমতায় এসেছিল বর্তমান শাসকদল। আর সেই সিঙ্গুরে নতুন শিল্প ভাবনা রাজ্য সরকারের। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। ১১ একর জমিতে পার্ক তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগম। ইতিমধ্যই পাার্কের পাঁচিলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ১০ কাঠা থেকে ৩০ কাঠা পর্যন্ত প্লট দেওয়া হবে। বড় প্লটও দেওয়া হবে। শিল্পপতিরা যেমন চাইবেন তেমন জমি পাওয়া যাবে ওখানে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাজপুর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে শিল্প গড়ে উঠবে। তাজপুর সমুদ্র বন্দরে ১৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। তাজপুরে বন্দর তৈরির জন্যে টেণ্ডার চেয়ে আগামী সোমবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞাপন দেবে। তাজপুরে বন্দর হলে পূর্ববর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এই সব অঞ্চল থেকে লোহা-ইস্পাত রফতানি বৃদ্ধি পাবে। খড়গপুর সংলগ্ন এলাকায় ইস্পাত শিল্প বৃদ্ধি পাবে। এর জেরে কর্মসংস্থানও বাড়বে। ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মত্স্যজীবীদের ঘরে টাকা আসবে। এছাড়াও পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৩৮ একর জমি নিয়ে নতুন প্রকল্পের কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ধানুকা গ্রুপ ই বিনিয়োগ করবে। তিনি জানান, সিলিকন ভ্যালিতে জমি দেওয়া হবে নতুন করে। ইতিমধ্যেই উইপ্রো চিঠি দিয়েছে।
নতুন শিল্প আসলে তার জন্য জোর করে সরকার জমি নেবে না বলে আবারও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জোর করে আমরা জমি নেব না। আমাদের জমি আছে। সেখান থেকে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা শুনে বিরোধীদের দাবি। এই সিঙ্গুরেই যদি শিল্প করতে হয় তাহলে বুদ্ধবাবু কী ভুল করেছিলেন? উপরন্তু বাংলাকে কী আসলেই ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হলো না? মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও তো কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের হগল্প শুনিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলো কোথায় হয়েছে আর কতজনই বা কাজ পেয়েছে তার খতিয়ান কিন্তু দেন নি! সুতরাং এগুলো ভোটের চমক।