দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল–রাজ্য সংঘাত এটা বড় আকার নিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এর কারণ রাজ্যের তরফে অর্ডিন্যান্স জারি করে দু’টি অর্থ বিল কার্যকর করার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চেয়ে পাঠিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) পত্রপাঠ সেগুলি ফেরত পাঠিয়েছেন। আর তাতেই নতুন করে সংঘাত এর ফাটল চওড়া হচ্ছে। রাজ্যপালের যুক্তি, “বিধানসভার অধিবেশন না চললে কোনও অর্ডিন্যান্স আনা যায় না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই বিল দু’টি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রাজভবনের দাবি, অধ্যক্ষ যদি বিধানসভা মুলতুবি করার অনুমোদন চান এবং রাজ্যপাল যদি তাতে সায় দেন, তা হলে তার পরে সরকার অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। না হলে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল দু’টি পাশ করাতে হবে।
এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএসটি পরিষদে (GST Council) বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী, সব রাজ্যকে বিধানসভায় এই সংক্রান্ত আইন পাশ করাতে হবে। কিন্তু বাংলাতে এখন বিধানসভা চলছে না, তাই অর্ডিন্যান্স জারি করে সেই বিল কার্যকর করতে চেয়েছিল অর্থ দফতর। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। তার পরই নির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। কিন্তু আজ সেই অর্ডিন্যান্স জারি করা অর্থ বিলে সম্মতি না দিয়ে ‘আইনি পথ’ দেখিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার নবান্নও রাজ্যপালকে এবার আইনি পথ দেখাবে বলে সূত্রের খবর।


সূত্র অনুযায়ী এই দুই বিলের একটি রাজ্যের ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত। এখনো অবধি যা জানা যাচ্ছে তাতে বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, রাজ্য এখন বাজার থেকে ঋণ নিতে পারে তার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩.৫%।অন্যদিকে করোনা মহামারির কারণে কেন্দ্র তা বাড়িয়ে ৫% করেছে। কিন্তু রাজ্য যতক্ষণ আইন না করছে ততক্ষণ বাজার থেকে বাড়তি ধার নিতে পারবে না। তাই এই ৫% বৃদ্ধি নিয়েই অর্ডিন্যান্সের প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেই বিল ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তাতেই রাজভবন–নবান্ন সংঘাত অব্যাহত।