দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: জে পি নাড্ডা’র গাড়ি ঘিরে চলতি মাসেই হেস্টিংস এ একদল বিক্ষোভকারী দেখিয়েছিল কালো পতাকা। এবার আর একবার ফের বিজেপির হেস্টিংস অফিসে উত্তেজনা দেখা দিল আজ সকালে। এবার উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আজ বিজেপির সদর দপ্তরে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা নেতৃত্বদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ছিল আজ। শুভেন্দু–সহ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ৪৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচি বিজেপির। তাই সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি যখন বিজেপি অফিস চত্বরে এসে পৌঁছায়, তখন সুনীলকে বাধা দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
আজ তার গাড়ি পৌছতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল। এমনকী তাঁর গাড়ির বনেটের উপরেও হামলা চালানো হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। আর এই ঘটনায় বাধা দিতে গেলে শাসকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাময়িকভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। যার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
অভিযোগ, সাংসদ হেস্টিংস এ পৌঁছনো মাত্রই গাড়ি ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। হাতের ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয়। এর পর কোনওরকমে সুনীল মণ্ডলকে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। আর সেই সাথে সাথেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল কর্মীদের। একসময় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। সুনীল মণ্ডলকেও তৃণমূল কর্মীরা ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বিজেপি’র হেস্টিংস পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূল অস্থায়ী মঞ্চ করে কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথসভা করছে। তার ফলে আবারও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এম্নিতেই গোটা হেস্টিংস মোড় তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ। এমনকী বিজেপি অফিসের একেবারে সামনেই মাইক বেঁধেছে তৃণমূল। যাতে তারস্বরে মা–মাটি–মানুষের গান বাজছে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা জমায়েত করেছে অফিসের সামনে।
আজ এই বৈঠকের আগেই দু’পক্ষের বচসাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে উত্তেজনা। এই বিষয়ে ভাটপাড়ার সাংসদ অর্জুন সিং এর মতে, “ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে বড় নোংরামি আর হয় না। কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে এসব কী করে হয়? পুলিশ দলদাস হয়ে বসে আসে। মানুষের সময় খারাপ হলে বিবেক নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকতে পারবে তো।”
ওপর দিকে এই মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে পথসভা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তৃণমূলের এক কর্মীর বক্তব্য, “কৃষি আইন ও গ্যাসের দাম বাড়ার জন্য আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিজেপি সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে বড় কোনও দাদা বলতে পারবেন।’” উল্লেখ্য আজ খবর হয়েছে যে এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে গ্যাস এর দাম ওঠা নামা করবে। ইতিমধ্যে চলতি মাসেই দুবার বেড়েছে গ্যাস এর দাম। অন্যদিকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে এখনো সিংঘু সীমান্তে বসে রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা।