দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডে রোগী ফেরানো বা রোগী’র চিকিত্সাতে সরকার নির্ধারিত ‘রেট’ বেসরকারী হাসপাতলের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই কার্ড নিয়ে বেসরকারী হাসপাতাল থেকে ফেরত আসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখন যেহেতু ‘দুয়ারে সরকার’ এর মাধ্যমে রাজ্যের সকল নাগরিককে এই কার্ড দেওয়া হচ্ছে তাতে বেসরকারী (কলকাতার নামী হাসপাতাল সহ) হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে ডক্টর কুণাল সরকার বলেন, “সরকার সিজারিয়ান ডেলিভারীর জন্যে ৭,০০০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছেন বা গলব্লাডার স্টোন অপারেশনের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন ৯,০০০ টাকা। কিন্তু এই মূল্য ওই অপারেশনের জন্যে নির্ধারিত সার্জনের ফীস থেকেও কম।”
এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর অভিযোগ সরকারের ঘর থেকে এই বিমার টাকা উদ্ধা করতে তাদের কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে। এই সব বিষয় নিয়েই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে দেখা গিয়েছে জটিলতা। আর সেই জটিলতা দূর করতে আজ স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতালের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা।
তবে আজ বৈঠক শেষে বেসরকারি আধিকারিকদের মতে বৈঠক ইতিবাচক। সরকার এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবে। বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি সহ বিবেচনা করে নির্ধারণ করবে একটা কমিটি। তবে এই বিষয়ে কুণাল বাবু বলেন এই কমিটি করে রেট ফিক্সড করতে ৯ মাস লেগে যাবে। আমরি’র সিইও রূপক বড়ুয়া জানান যে তাঁরা জানিয়েছেন যে স্পেশাল প্যাকেজ হাসপাতাল গুলো বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সেই সাথে কিভাবে বকেয়া টাকার দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেদিকেই নজর দিক সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সব বিষয় খতিয়ে দেখার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতাল অ্যাসোশিয়েশন এর চেয়ারম্যান জানান আজকের বৈঠক ইতিবাচক। তাদের পক্ষ থেকে সরকারী পরিষেবা উন্নত করে কিভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রাহকদের সরকারি হাসপাতাল থেকেই ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সাথে রেট বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করে বাস্তব সম্মত রূপ দিতেও অনুরোধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে একটা জটিলতা রয়েছে যেটা খুব শিগগির মিটবে বলেই আশাবাদী সরকারি আধিকারীকরা।